খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটিতে সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে ইবিতে সমাবেশ
- ইবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:১৬ PM , আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:২৬ PM
খাগড়াছড়ির মধুপুর, দীঘিনালা ও রাঙ্গামাটিতে সেটেলার কর্তৃক পাহাড়িদের উপর সাম্প্রদায়িক হামলা, ঘরবাড়ি-দোকানপাট ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরের প্রতিবাদে এবং হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও যথাযথ শান্তির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫ টায় বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতার ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটে এই প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইবিতে অধ্যয়নরত আদিবাসী শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।
এসময় শিক্ষার্থীদের হাতে ঠিক কতবার স্বাধীন হলে পাহাড়ের শান্তি ফিরবে? পাহাড়ের সেনা ব্যারাকে পাঠাও; পর্যটনের নামে ভূমি দখল বন্ধ কর; এক দেশে দুই নীতি মানিনা মানবো না; পাহাড়ে আগুন কেনো? সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে না, সেনাশাসনের বিরুদ্ধে; বিচ্ছিন্নতাবাদী নয় সম্পৃক্ত হতে চাই ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড দেখা যায়।
বক্তারা বলেন, অনেকেই মনে করে যে আমরা বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন হতে চাই, ব্যাপারটা সত্য নয়। আমরা বাংলাদেশের সাথে থেকেই স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে নিজেদের অধিকার নিয়ে বাঁচতে চাই। বিভিন্ন সময় পাহাড়ের বসবাসকারীদের সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে যেটা সত্যি নয়। বরঞ্চ আদিবাসীদের জমি নিয়ে সেখানে বাঙালিদের আবাসন করা হয়েছে। আমাদের অনেকেই এখনও ভারতের শরণার্থী হিসেবে বাস করে। আমরা কোনোভাবে জুমল্যান্ড গঠনের পরিকল্পনা করছি না।
আরও পড়ুন: ইবিতে উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ
ইতিপূর্বে আমরা বাঙালি সরকারের সাথে একটি শান্তি চুক্তি করেছিলাম যেটা পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি নামে পরিচিত। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয় যে চুক্তি স্বাক্ষরের দীর্ঘদিন পেরিয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত চুক্তির ধারাগুলো সম্পূর্ণভাবে বাস্তবায়িত হয়নি। আমরা পরিষ্কার করে বলে দিতে চাই, আমরা কখনোই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে ছিলাম না। উপরন্তু পাহাড়ে যে সেনা শাসনের নামে নির্যাতন চলে, আমরা তার বিরুদ্ধে ছিলাম। আমরা পাহাড় অস্থিতিশীলকারীদের বিচার চাই।
তারা আরো বলেন, আমাদের জাতিসত্তার পরিচয়ের কারণে আমাদের এখন সব কিছু থেকে পিছিয়ে যেতে হচ্ছে। আমাদের কখনো উপজাতি আবার কখনো আদিবাসী বলা হচ্ছে। আমরা আইডেন্টিটি ক্রাইসিস চাই না আমরা আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি চাই।