‘নারায়ে তাকবীর’ স্লোগান নিয়ে ফেসবুকে প্রশ্ন
ইবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, ‘নরায়ে তাকবীর’ স্লোগানে প্রকম্পিত ক্যাম্পাস
- ইবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২২ আগস্ট ২০২৪, ১২:৪৫ PM , আপডেট: ২২ আগস্ট ২০২৪, ০১:০৬ PM
ফেসবুকে নারায়ে তাকবীর স্লোগান নিয়ে প্রশ্ন তোলায় বিক্ষোভ করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষার্থীরা। প্রশ্নকারী মিমের বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার কারাণে মামলা করা হবে বলেও জানান তারা।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) বেলে সাড়ে ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়।
জানা যায়, গতকাল রাতে জুলাইয়ের আন্দোলন নিয়ে স্মৃতিচারণমূলক প্রোগ্রাম ‘জানতে চাই’ এর লাইভের আয়োজন করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের একাংশ। ‘সংবর্ত ৩৬’ নামের পেইজ থেকে তিন ঘন্টার লাইভ অনুষ্ঠিত হয়। এতে হোস্ট ছিলেন গণিত বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জান্নাত মিম। এতে সমন্বয়ক ও সহ-সমন্বয়করা উপস্থিত ছিলেন।
আন্দোলনের বিষয় নিয়ে কথোপকথন হওয়ার কথা থাকলেও সেটি না করে বিভিন্ন বিষয় অযাচিত প্রশ্ন করে সমন্বয়কদের বিব্রত করা হয়। এক পর্যায়ে লিভ নেন তারা। এক পর্যায়ে হোস্ট জান্নাত মিম আন্দোলনের বিজয়ের দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেইন গেটে ‘নারায়ে তাকবীর’ স্লোগান কেন দেওয়া হয় এটা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
বিক্ষোভকালে শিক্ষার্থীরা ‘নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবর’, ‘তাকবীর শুনে পুড়লে গা, ক্যাম্পাস ছেড়ে পালিয়ে যা', ’তাকবীর হবে ক্যাম্পাসে, তাকবীর হবে সংসদে’, ‘বাশের লাঠি তৈরি কর, শাহাবাগীদের বিদায় কর’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, এ বিশ্ববিদ্যালয়ই প্রতিষ্ঠা হয়েছিল ধর্মীয় শিক্ষার সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার সমন্বয় করা। দাড়ি আলা এবং টুপি আলা দেখে যদি চুলকায় তাহলে এর মলমও আমাদের কাছে। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছো মিম। তোমার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হবে। পালাবা কোথায়? এ মিম ক্যাম্পাসে প্রবেশের আগে ১০০ বার তাকবীর দিয়ে শুদ্ধ করে তারপর ক্যাম্পাসে প্রবেশ করানো হবে। জাহন্নামী মিম থেকে বাকীরা সবাই শিক্ষা নিও।
পারভেজ আহমেদ রবিন নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, "লিল্লাহি তাকবির আল্লাহু আকবর " শাহবাগী নাস্তিকদের আস্তানা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে হবে না। আল্লাহু আকবর এই তাকবীর কোনো রাজনৈতিক স্লোগান হিসাবে মানি না মানবো না! এই স্লোগান প্রত্যেক মুসলমানদের হৃদয়ের ঈমানদীপ্ত স্লোগান।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, ক্যাম্পাসে সবার মতামতের স্বাধীনতা থাকবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সর্বদা কাজ করে যাচ্ছে। যদি কেও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকে তবে তাদেরকে ছাত্র সমাজ প্রতিহত করবে।