৬৮ ঘণ্টায়ও বিদ্যুৎ আসেনি বিএম কলেজে, পানি সংকটে শিক্ষার্থীরা

৬৮ ঘণ্টায়ও বিদ্যুৎ আসেনি বিএম কলেজে,পানি সংকটে শিক্ষার্থীরা
৬৮ ঘণ্টায়ও বিদ্যুৎ আসেনি বিএম কলেজে,পানি সংকটে শিক্ষার্থীরা  © সংগৃহীত

বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ প্রায় ৬৮ ঘণ্টা যাবৎ। দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকায় হোস্টেলে খাবার পানিসহ নানান সংকটে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা।

শিক্ষার্থীরা জানায়, ঘূর্ণিঝড় রেমালে বরিশালের সব জায়গায় বিদ্যুৎ চলে যায়। ফলে সব জায়গায় বিদ্যুৎ আসলেও গোটা ক্যাম্পাসে এখন পর্যন্ত বিদ্যুতের দেখা পাওয়া যায়নি। 

বুধবার (২৯ মে) বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, (২৬ মে) রবিবার রাত ১১ টায় বিদ্যুৎ চলে যায়, ওই দিন রাত থেকে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (বিকেলে সাড়ে চারটা) কলেজে বিদ্যুৎ আসেনি। আর কবে আসবে তারও কোনো হদিস পাওয়া যায়নি।

সুজন নামের এক আবাসিক শিক্ষার্থী জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমালে রবিবার দিন রাতে আমাদের হোস্টেলে বিদ্যুৎ চলে যায়। এরপর থেকে আজ সোমবার হয়ে গেছে এখন পর্যন্ত বিদ্যুৎ আসেনি। মোবাইল বন্ধ চার্জ নেই, বাড়িতে যোগাযোগ করতে পারি না। আজ ৩দিন হলো গোসল করব হোস্টেলে পানি নেই। আমরা ওয়াশরুমে যেতে পারছি না। গরমে রাতে ঘুমাতে পারছি না। আমরা যে সমস্যা গুলো ফেস করতেছি এগুলো কলেজ প্রশাসন একবারের জন্যও এসে দেখেনি। আমরা অনেকবার কলেজ প্রশাসনকে জানালেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।

আবু জাফর নামের অনার্স চতুর্থ বর্ষের এক পরীক্ষার্থী জানান, আমাদের অনার্স ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষা চলে, হোস্টেলে বিদ্যুৎ না থাকায় আমাদের কখনও মোমবাতি জ্বালিয়ে আবার কখনও হোস্টেলের বারান্দায় বসে পড়তে হচ্ছে। কলেজ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি তারা যেন দ্রুত বিদ্যুতের ব্যবস্থা করে দেন।

এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড.আমিনুল ইসলাম জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমালে কলেজের বিদ্যুৎ লাইনের উপর কয়েকটা গাছ পড়ায় সারা কলেজের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন। আমি ফায়ার সার্ভিসের লোকজন খবর দিয়েছি এবং বিদ্যুৎ অফিসেও জানিয়েছি। আশা করি খুব শীঘ্রই সমস্যাগুলোর সমাধান হয়ে যাবে।


সর্বশেষ সংবাদ