আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে শোকজ
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০৭:৫২ PM , আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮:০৭ PM
সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী চয়ন ইসলামের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়ায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক শাহ আজম ও নৌকার প্রার্থী চয়ন ইসলামকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।
আজ শুক্রবার (৫ জানুয়ারি) সিরাজগঞ্জ-৬ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কর্মকর্তা এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মো. মামুন-অর-রশিদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সিরাজগঞ্জ-৬ (শাহজাদপুর) আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী চয়ন ইসলাম রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যালয় ব্যবহার করে এবং ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক শাহ আজমসহ অন্যান্য শিক্ষকদের ব্যবহার করে ৩ জানুয়ারি নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন। আর এটির ভিডিও ফুটেজ ৪ জানুয়ারি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে প্রচারিত হয়। যার দ্বারা সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর ৪ (১) নম্বর এবং ১৪ (২) নম্বর বিধি লঙ্ঘিত হয়েছে।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, অধ্যাপক শাহ আজম রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকদের ব্যবহার করে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যালয় ব্যবহার করে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী চয়ন ইসলামের উপস্থিতিতে তার নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন। যার ভিডিও ফুটেজ ৪ জানুয়ারি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে প্রচারিত হয়। যার দ্বারা সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর ৪ (১) নং এবং ১৪ (২) নং বিধি লঙ্ঘিত হয়েছে।
এমতাবস্থায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী চয়ন ইসলাম ও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক শাহ আজমের বিরুদ্ধে কেন আইনানুগ ব্যবস্থার জন্য নির্বাচন কমিশনে সুপারিশ করা হবে না তা আগামীকাল শনিবার (৬ জানুয়ারি) বিকেল ৩টায় আদালতে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বিজন কুমার, বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. ফখরুল ইসলাম ও অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক সৈয়দ আশরাফকে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়ায় কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়।