ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে বিএম কলেজের সকল সড়কে পানি

মিধিলির প্রভাবে পানিতে তলিয়ে গেছে বিএম কলেজ প্রাঙ্গণ
মিধিলির প্রভাবে পানিতে তলিয়ে গেছে বিএম কলেজ প্রাঙ্গণ   © টিডিসি ফটো

ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে বরিশালে গতকাল রাত থেকেই গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে । আজ শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সারাদিন মুষলধারে বৃষ্টি হওয়াতে বরিশাল নগরীর ঐতিহ্যবাহী সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয় এবং কলেজের বিভিন্ন সড়ক, খেলার মাঠ এবং ছাত্রাবাসের যাতায়াত সড়কগুলো হাঁটু সমান পানিতে ডুবে গেছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, কলেজের অভ্যন্তরে এবং বহির্ভাগে যেসব ড্রেন রয়েছে সেগুলো নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না করায় সামান্য বৃষ্টি হলেই এসব ড্রেনের পানি উপচে পড়ে ক্যাম্পাসে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এই জলাবদ্ধতার নোংরা পানিতে কলেজের মাঠ-ঘাট এবং বিভিন্ন সড়ক তলিয়ে যায়।

এছাড়াও কলেজের মহাত্মা অশ্বিনী কুমার দত্ত ( ডিগ্রী হল ) ছাত্রাবাস, মুসলিম হল ছাত্রাবাস ও হিন্দু হল ছাত্রাবাসের যাতায়াতের সকল সড়ক গুলোতে হাঁটু সমান পানি জমে গেছে।

আরও পড়ুন: ‘অস্ট্রেলিয়া ৪৫০/২, ভারত ৬৫ রানে অলআউট’, মার্শের ভবিষ্যদ্ববাণী

শিক্ষার্থীরা জানান, কলেজ এলাকায় বরিশাল সিটি কর্পোরেশন (বিসিসি) কর্তৃক মশা নিধনের জন্য মাঝে মাঝে ধোঁয়া দিলেও জলাবদ্ধতা ও আবর্জনা পরিষ্কারের বিষয়ে উদ্যোগ নেই। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে কলেজে অধ্যয়নরত হাজারো শিক্ষার্থী এবং জনসাধারণকে।

জলাবদ্ধতার বিষয়ে সরকারি বিএম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. গোলাম কিবরিয়া বলেন, বিএম কলেজের অবস্থান শহরের তুলনায় নিচু স্থানে হওয়াতে সামান্য বৃষ্টি হলেই কলেজে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। কলেজের চার পাশের ড্রেন গুলো অপরিষ্কার থাকায় বৃষ্টির পানি নামতে পারছে না ।

তিনি আরও বলেন, ড্রেন গুলো বরিশাল সিটি  কর্পোরেশনের আওতাভুক্ত থাকায় আমরা জলাবদ্ধতা নিরসনে তাদের সহযোগিতা চেয়েছি। ইতোমধ্যে বিসিসি ড্রেনগুলো পরিষ্কার এবং মেরামতের কাজ শুরু করে দিয়েছে। ড্রেন গুলোর সংস্কার হয়ে গেলে আমরা আশাবাদী কলেজ থেকে জলাবদ্ধতা নিরসন হয়ে যাবে।


সর্বশেষ সংবাদ