গুচ্ছের কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে কত আসন ফাঁকা?

ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী
ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী   © ফাইল ফটো

গুচ্ছভুক্ত ২২টি সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক শ্রেণিতে ২ হাজার ২২০টি আসন ফাঁকা রয়েছে। এই আসনগুলোতে শিগগিরই শিক্ষার্থী ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হবে।

গুচ্ছের টেকনিক্যাল কমিটি থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি আসন ফাঁকা রয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে। ফাঁকা আসনের দিক দিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। এর পরের অবস্থানে রয়েছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ফাঁকা আসনের সংখ্যা ২৪১টি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন ফাঁকা রয়েছে ২১৫টি। আর নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফাঁকা রয়েছে ১৯০টি আসন।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন ফাঁকা রয়েছে ১৬৭টি, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮৭টি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৭টি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৭টি, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৬৩টি ফাঁকা রয়েছে।

এছাড়া, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯৭ট, হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫৪টি, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ৯০, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২৯, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৫৭, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৩৩, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৩৪, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৮, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৭, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২১, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৩, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৭৩, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫টি আসন ফাঁকা রয়েছে।

এদিকে গুচ্ছের ফাঁকা আসনে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবজেক্ট মাইগ্রেশন বন্ধের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এরপর নতুন করে স্টুডেন্ট প্যানেলে ভর্তিচ্ছুদের তথ্য নিয়ে চূড়ান্ত ভর্তি সম্পন্ন করা হবে।

গতকাল বুধবার রাত ৮টায় অনুষ্ঠিত টেকনিক্যাল কমিটির সভাত এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সভা সূত্রে জানা গেছে, আগামী শনিবারের মধ্যে সাবজেক্ট মাইগ্রেশব শেষ করা হবে। এরপর অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চায় তাদের স্টুডেন্ট প্যানালে লগ-ইন করে 'ইয়েস' অপশনে টিক দিতে হবে। 

ইয়েস অপশনে টিক দেওয়া শিক্ষার্থীদের মেধাক্রম, পছন্দক্রম অনুযায়ী একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সাবজেক্ট সিলেক্ট করে দেওয়া হবে। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা ওই বিষয়ে ভর্তি হবেন। অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে এই প্রক্রিয়া শেষ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টেকনিক্যাল কমিটির সভায় উপস্থিত একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, শিক্ষার্থীরা গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে চায় কি না এটি তাদেরই ঠিক করতে হবে। যারা ভর্তি হতে চায় তাদের আমরা সাবজেক্ট এবং বিশ্ববিদ্যালয় নির্ধারণ করে দেব।

সাবজেক্ট ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারণের পরও আসন ফাঁকা থাকলে সেক্ষেত্রে করণীয় কি হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, আসন ফাঁকা থাককে একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সিট পূর্ণ করা হবে। আমরা চাইনা কোনো শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হোক।

এর আগে গত সোমবার গুচ্ছের কোর কমিটির সভায় আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় মাইগ্রেশন বন্ধের সিদ্ধান হয়।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির আহবায়ক এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ দ্যা ডেইলি ক্যম্পাসকে বলেন, ইন্টার ইউনিভার্সিটি ট্রান্সফার আর হবে না। খালি সিটগুলো কীভাবে পূরণ হবে, সে বিষয়ে টেকনিক্যাল কমিটি কমপ্লিট প্রস্তাবনা দেবে।

গত ২২ আগস্ট গুচ্ছের শেষ ধাপের ভর্তি নেওয়া হয়। ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী এবার চার ধাপে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। তবে অধিক সংখ্যক আসন ফাঁকা থাকায় ফের ভর্তির সুযোগ দিতে যাচ্ছে গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটি।

এর আগে ২০ জুন গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইনে ভর্তির আবেদন শুরু হয়। পরে পর্যায়ক্রমে তিনটি ইউনিটে পরীক্ষা গ্রহণ ও ফল প্রকাশ করা হয়। এ বছর ‘এ’ ইউনিটে (বিজ্ঞান) পাসের হার ৪৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ, ‘বি’ ইউনিটে (মানবিক) পাসের হার ৫৬ দশমিক ৩২ শতাংশ, ‘সি’ ইউনিটে (ব্যবসায় অনুষদ) পাসের হার ৬৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ।


সর্বশেষ সংবাদ