অবশেষে আন্দোলন স্থগিত করলো ইবি কর্মকর্তা সমিতি

কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দিচ্ছেন সমিতির সভাপতি এটি এম এমদাদুল আলম
কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দিচ্ছেন সমিতির সভাপতি এটি এম এমদাদুল আলম  © টিডিসি ফটো

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কর্মকর্তাদের ১৬ দফা দাবি আদায়ে লক্ষ্যে লাগাতার কর্মবিরতি স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। রবিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরাম, বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা শেষে বিকেল ৫ টায় এ ঘোষণা দেন সমিতির সভাপতি এটি এম এমদাদুল ইসলাম।

জানা যায়, গত জুলাই মাস থেকে অবসরের বয়সসীমা ৬২ বছরে উন্নীতকরণসহ ১৬ দফা দাবিতে লাগাতার প্রায় ১৬ দিন পাঁচ ঘন্টা করে কর্মবিরতি পালন করেছিলেন কর্মতারা। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধের পর পুনরায় গত ২ সেপ্টেম্বর থেকে কর্মবিরতি পালন করেন কর্মকর্তারা। আজ রবিবার দুপুরে আলোচনায় বসেন কর্মকর্তারা। আলোচনা সভায় এসময় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুস সালাম তাদের দাবি খতিয়ে দেখে যৌক্তিক বিষয়গুলো মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন। কর্তৃপক্ষের আশ্বাসে আন্দোলন সাময়িক স্থগিতের ঘোষণা দেন সমিতির কর্মকর্তারা।

সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য অধ্যাপক ড. আবদুস সালাম, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন, সম্পাদক অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার, শাপলা ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান, সম্পাদক অধ্যপক ড. মামুনুর রহমান, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. মাহবুবুল আরেফিন, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এটি এম এমদাদুল আলমসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

কর্মকর্তাদের উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো হল— চাকরির বয়সসীমা ৬২ বছর করা, সিন্ডিকেটর সিদ্ধান্ত মোতাবেক কর্মকর্তাদের সেশন বেনিফিট বহাল রাখা, আইসিটি সেলের উপ-রেজিস্ট্রার মমতাজের চাকরি হতে অব্যহতির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার, পোষ্য কোটার ভর্তিতে শর্ত শিথিল করা, বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরতাবস্থায় মৃত্যুজনিত কারণে কর্মচারীবৃন্দের পরিবারের যোগ্যতম ব্যক্তিকে সিণ্ডিকেটের সিদ্ধান্ত মোতাবেক মৃত্যুর ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যেই চাকুরী প্রদানের বিষয়টি বাস্তবায়নের বাস্তব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, পরীক্ষা সংক্রান্ত কাজে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পরীক্ষার পারিশ্রমিক বৃদ্ধি করা এবং সিন্ডিকেটের অনুমোদিত কর্মচারীদের পদোন্নতি নীতিমালার বিশেষ টিকার আলোকে ১১ জন প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে শাখা কর্মকর্তা পদে পদোন্নতি প্রদান করতে হবে।

তাদের অন্য দাবিগুলো হলো— বিশ্ববিদ্যালয়ের যুগোপযোগী অর্গানোগ্রাম তৈরি করা, চিকিৎসা কেন্দ্রে কর্মরত সকল স্তরের টেকনিক্যাল কর্মকর্তাদের পদোন্নতি সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন করতে হবে, সাধারণ কর্মচারীদের পদোন্নতি নীতিমালানুযায়ী বছরে চার বার পদোন্নতি/আপগ্রেডিং এর মাধ্যমে পদোন্নতি প্রদান করতে হবে।

কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এমদাদুল আলম বলেন, কর্তৃপক্ষ আমাদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। আমাদের তিনটি দাবি ইতোমোধ্যে মেনে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এর ভিত্তিতে আমাদের আন্দোলন  স্থগিত ঘোষণা করেছি।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবদুস সালাম বলেন, তাদের দাবি যৌক্তিক হলে অবশ্যই বিবেচনা করব। সভায় আমাদের শিক্ষক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আমরা সম্মিলিতভাবে বিষয়টি দেখব। আমরা তাদের নায্য অধিকার বঞ্চিত করব না।


সর্বশেষ সংবাদ