কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হল মোবাইল অ্যাপ
- কুবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:০০ PM , আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:২৬ PM
আধুনিক ও প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা কার্যক্রমের সাথে খাপ খাওয়াতে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন দ্রুতগতির ক্যাম্পাস নেটওয়ার্ক সংযোগের উদ্বোধন করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পাশাপাশি 'কুমিল্লা ইউনিভার্সিটি' নামে একটি অফিসিয়াল মোবাইল এপ্লিকেশনেরও (অ্যাপ) আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
আজ মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল কক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন এর উদ্বোধন করেন।
এই সময় শিক্ষার্থীদের একাডেমিক শিক্ষা, গবেষণা ও ব্যবহারিক কাজে প্রযুক্তি নির্ভরতা বৃদ্ধি ও প্রসারের লক্ষ্যে বিভিন্ন অনুষদে এ বিশেষ সুবিধাটি ব্যাবহার করা হয়। প্রকৌশল অনুষদে ৮টি, বিজনেস অনুষদে ১টি, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে ১টি, আইন বিভাগে ১টি ও গণিত বিভাগে ১টি সহ সর্বমোট ১২টি কম্পিউটার ল্যাবে উন্নত প্রযুক্তির সুইচিং ডিভাইস ব্যবহার করে ল্যান স্থাপনের এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়।
এটির মাধ্যমে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের শিক্ষা, গবেষণা, সেমিনার ওয়ার্কসপ, প্রজেক্ট, প্রশিক্ষণ, প্রতিযোগিতা ইত্যাদি কাজের আওতায় প্রতিটি অনুষদ ভবনসহ প্রশাসনিক ভবন, উপাচার্য বাংলো, সকল ডরমিটরি, অতিথি ভবন, পরিবহন পুল ও কেন্দ্রীয় ক্যাফেটিরিয়ায় এ দ্রুত গতির ল্যান সংযোগ স্থাপন বাস্তবায়িত হলো। এ সম্প্রসারণ কাজের বিভিন্ন স্থাপনায় আধুনিক প্রযুক্তির সুইচিং ডিভাইস ব্যবহার করে সবমোট ১৪৬৫টি ল্যান সংযোগ ও ৯২টি উন্নত প্রযুক্তির ওয়াই-ফাই রাউটার স্থাপন করা হয়।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল মোবাইল এপ্লিকেশনটি (অ্যাপ) গুগল প্লে-স্টোর এবং আইওএস এর অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোড করা যাবে ৷
আরও পড়ুন: ৪৩তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল কবে—জানাল পিএসসি
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, মানসম্পন্ন একাডেমিক পরিবেশের লক্ষ্যে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আজ তার সম্প্রসারিত নেটওয়ার্ক সুবিধা ও মোবাইল অ্যাপসের উদ্বোধন উদযাপন করছে। সম্প্রসারিত ক্যাম্পাস নেটওয়ার্কের সুবিধাগুলো ক্যাম্পাসে ইন্টারনেট সংযোগের ক্ষেত্রে বিপ্লব ঘটাবে।
তিনি আরও বলেন, এটির মাধ্যমে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, একাডেমিক এবং প্রশাসনিক কর্মীরা উচ্চ-গতির ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যাবহারের সুযোগ পাবে। এছাড়াও, অনলাইন একাডেমিক রিসোর্সগুলিতে এখন থেকে নিরবচ্ছিন্ন সংযোগ থাকবে যা উন্নত গবেষণা ও একাডেমিক প্রকল্পগুলিতে বিশেষ সহযোগিতা প্রদান করবে।
উপাচার্য আরও বলেন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি-একটি স্মার্ট বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির চাবিকাঠি। শেখার এবং উদ্ভাবনের জন্য সর্বোত্তম সম্ভাব্য পরিবেশ প্রদানের জন্য আমাদের এ বিষয়ের উপর জোর দিতে হবে।