ছাত্রসমাবেশ থেকে ফিরে মারামারিতে জড়াল বদরুন্নেসা ছাত্রলীগের দু’গ্রুপ, আহত ৬
- ঢাবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:৫৫ PM , আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:৫০ PM
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত ছাত্রসমাবেশ থেকে ফিরে মারামারিতে জড়িয়েছে রাজধানীর বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ। এতে ৬-৭ জন আহতের খবর পাওয়া গেছে।
আজ শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কর্মসূচি শেষে ক্যাম্পাসে ফেরার পর হল গেটে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সেলিনা আক্তারের অনুসারীদের সঙ্গে শাখা সাধারণ সম্পাদক হাবিবা আক্তার সাইমনের অনুসারীদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে।
পরে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কলেজ ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীরা একে অপরকে দায়ী করছে বলে জানা যায়।
তবে বিষয়টি অস্বীকার করে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সেলিনা আক্তার বলেন, হলে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। হলের নিচে চেঁচামেচি হচ্ছিলো পরে আমি গিয়ে সমাধান করে দিয়েছি। সেরকম তো কিছু ঘটেনি। একজনের ফোন ভেঙ্গে গেছে আমি সেটা ঠিক করে দিবো বলেছি।
মারামারিতে একজনের হাত কাটার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসব কিছু ঘটেনি। এগুলো রুমে গিয়ে বানানো হয়েছে। এখন বানিয়ে সবাইকে দেখালে তো আমার করার কিছু নাই। আমি আসলে এ ব্যাপারে কিছু জানি না। আমি নিচের চেঁচামেচি দেখে গিয়ে সবকিছু শুধু সমাধান করে দিয়েছি এর বেশি কিছু আসলে ঘটেনি।
তবে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবা আক্তার বলেন, আমি তখনও প্রোগ্রামেই ছিলাম। এসে শুনি তারা আমার ছাত্রীদের ওপড় আক্রমণ করেছে। সভাপতি সরাসরি সেখানে উপস্থিত ছিলেন এবং নিজে মারধর করেছেন। এই ঘটনায় ৬ থেকে ৭ জন আহত হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, সভাপতি শেলীর উপস্থিতিতে শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাবীবা, হাফসাসহ আরো বেশ কয়েকজন হামলা চালিয়েছেন। ছাত্রীদের হাতে ও মুখের ক্ষত তো আপনারা দেখেছেন।
সভাপতি বিষয়টি অস্বীকার করার নিয়ে তিনি বলেন, মেরে তো স্বীকার করবে না আমার ছাত্রীদের অবস্থা আমি দেখেছি তাদের শরীরে থাপ্পর এবং লাথি দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান সভাপতির তাদের প্রতি আগে থেকেই ক্ষোভ ছিলো। সেই ক্ষোভ থেকেই হয়তো এ ঘটনা ঘটিয়েছে।
উল্লেখ্য, সভাপতি সেলিনা হোসেন সরকারি বদরুন্নেসা কলেজের পুরাতন হলে থাকেন এবং সাধারণ সম্পাদক হাবিবা আক্তার সাইমন কলেজের নতুন হলে থাকেন।