১০০ টাকায় নাস্তা-লাঞ্চ-ডিনার মিলছে বিএম কলেজের ডাইনিংয়ে

১০০ টাকায় নাস্তা-লাঞ্চ-ডিনার মিলছে বিএম কলেজের ডাইনিংয়ে
১০০ টাকায় নাস্তা-লাঞ্চ-ডিনার মিলছে বিএম কলেজের ডাইনিংয়ে  © টিডিসি ফটো

বরিশালে ১৮৮৯ সালে শিক্ষানুরাগী মহাত্মা অশ্বিনী কুমার দত্ত তার বাবার নামে ব্রজমহন কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার শুরুতে কলেজটি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ছিল। সে সময়ে এ কলেজের লেখাপড়ার মান ভালো থাকায় অনেকে এটিকে দক্ষিণ বাংলার অক্সফোর্ড বলে আখ্যায়িত করেন। কলেজটি জাতীয়করণ করা হয় ১৯৬৫ সালে। বর্তমানে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এর অধিভুক্ত।

বিগত কয়েকমাস বন্ধ থাকার পর গত ৫ মার্চ ২০২৩ চালু হয়েছিল মহাত্মা অশ্বিনী কুমার ডিগ্রি হলের ডাইনিং  দায়িত্বশীলদের অবহেলায় মাস খানেক চলার পর খাবারের মান খারাপ হয়ে যায়, ফলে ডাইনিংয়ে ছাত্রদের খাবারে অনীহা চলে আসে এবং অনেক ছাত্র খাবারের মিল অফ করে দেয়।

খাবারের মান উন্নয়ন না হওয়ায় ধীরে ধীরে ডাইনিং অচল হয়ে পড়ে অতঃপর খাবারের মিল সংখ্যা কমে যায়। খাবারের মিল কমতে থাকায় কর্তৃপক্ষ ডাইনিং বন্ধ করে দেয়। ডাইনিং বন্ধ হয়ে যাওয়ার ফলে ফের ভোগান্তির শিকার হন ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থীরা । 

ছাত্রদের কল্যাণের কথা মাথায় রেখে রোজার ঈদের ছুটির পর হল সুপার কাজী রফিক সাহেব নতুন দুইজন কে ডাইনিংয়ের দায়িত্ত্ব দিয়ে ফের ডাইনিং চালু করেন। নতুন দায়িত্বপ্রাপ্তরা হলেন, মোঃ ইভান ( মাস্টার্সের অধ্যয়নরত ) এবং আবু সায়েম ( মাস্টার্সে অধ্যয়নরত)  

ডাইনিংয়ের নতুন দায়িত্বশীলরা যুক্ত হওয়ার পর খাবারে মানে বেশ পরিবর্তন এসেছে। খাবার বাবদ প্রতিদিন নিচ্ছে একশত টাকা। একশত  টাকার মধ্যে সকালের নাস্তায় পনেরো টাকা দুপুরের লাঞ্চে পাঁচ পঞ্চাশ টাকা রাতের ডিনারে ত্রিশ টাকা।

09c99114-c74f-4bd1-b931-6603bb5c98ad

খাবারের মান উন্নয়ন হওয়ায় খুশি ছাত্ররাও। ছাত্র নেতা আরিফ বিল্লাহ বলেন মহাত্মা অশ্বিনী কুমার ডিগ্রি হলের ডাইনিংয়ে আগে খাবারের মান অনেক খারাপ ছিল। খাবারের মান খারাপ থাকায় অনেক ছাত্র ডাইনিংয়ে খাবার দায়িত্ব না,খাবার খাইতো কলজের বাহিরে বিভিন্ন হোটেলে। বাহিরের হোটেলে খাবার খেতে গেলে অনেক খরচ পড়ে যেত। স্বল্প খরচে খাবারের মান ভালো হওয়ায় আমাদের জন্য বেশ উপকার হলো।

আরও পড়ুন: ছুটি শেষে শিক্ষার্থীদের পদচারণায় মুখর বেরোবি, ক্লাস শুরু মঙ্গলবার

নতুন দায়িত্বশীল মোঃ ইভান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, আমরা অনেক আগে থেকেই দেখে আসছি আমাদের ডাইনিংয়ের খাবারের মান ভালো ছিল না। ফলে হলে থাকা শিক্ষার্থীদের অনেকে খাবার খাইতো বাহিরের হোটেলে, যেখানে খাবার খাওয়ার জন্য প্রতিদিন কম করে হলেও ১৫০ থেকে ২০০ টাকা লেগে যেতো।

আমরা চাচ্ছি হলের সকল শিক্ষার্থী এখন থেকে বাহিরের হোটেলে না খেয়ে স্বল্প মূল্যে আমাদের ডাইনিংয়ে খাবার গ্রহণ করুক। ডাইনিং এর খাবারের মান ভালো করতে যা যা দরকার আমরা সেই পদক্ষেপ নিয়ে সামনে অগ্রসর হচ্ছি।

ছাত্রদের খুশি দেখে হল সুপার কাজী রফিক সাহেব ও খুশি। হল সুপার কাজী রফিক সাহেব বলেন, আমি হল সুপার থাকা কালীন ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থীরা খাবারের জন্য কষ্ট করবে এটা আমি চাইনা। স্বল্প খরচে যেনো সবাই ভালো খাবার খেতে পারে আমি সেই ব্যবস্থাই করতেছি। আমি আশাবাদী এ বারের নতুন দায়িত্বশীলরা সুষ্ঠ ও সুন্দর ভাবে ডাইনিং পরিচালনা করবে এবং স্বল্প মূল্যে ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থীদের মান সম্মত খাবার খাওয়াবে। 


সর্বশেষ সংবাদ