কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
জুনিয়রকে মারধরে অভিযুক্ত সিনিয়রকে হল ছাড়ার নির্দেশ
- কুবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ২৫ মার্চ ২০২৩, ০৮:৩৮ AM , আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২৩, ০৮:৪৬ AM
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) সিনিয়র শিক্ষার্থী কর্তৃক জুনিয়র শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় ওই সিনিয়রকে হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শুক্রবার (২৫ মার্চ) মধ্যরাতে কুবির বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট মোকাদ্দেস-উল ইসলাম ও সহকারী প্রক্টর অমিত দত্ত প্রাথমিক এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী মীরহাম রেজা শুক্রবার দুপুরে ক্যান্টিন বয়কে হলের অভ্যন্তরে উচ্চস্বরে ডাকায় আইন অনুষদ শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নেওয়াজ শরিফ ফাহিম (২০১৬-১৭ সেশন) তাকে ধমক দেন। এ নিয়ে পরবর্তীতে তাদের দুজনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হলে মীরহামের বিভাগের (প্রত্নতত্ত্ব) সিনিয়র ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সেলিম আহমেদ (১৮-১৯ সেশন) তার জুনিয়রকে কেন ধমক দেয়া হয়েছে তা জানতে চান। বিষয়টি নিয়ে দুই দফা ফাহিমের সাথে সেলিমের বাগবিতণ্ডা হয়। ঘটনার এক পর্যায়ে ফাহিম হল-গেইটে প্রথমে সেলিমকে মারধর করেন পরবর্তীতে আত্ম-রক্ষার্থে সেলিমও ফাহিমের গায়ে হাত তোলেন।
এবিষয়ে প্রথমে বাগবিতণ্ডায় জড়ানো শিক্ষার্থী মীরহাম রেজা বলেন, ক্যান্টিনে কিছু টাকা বাকি থাকায় ক্যান্টিন বয়কে ডাকছিলাম। তখন উনি (ফাহিম) আমাকে বলেন, ‘তুই আমারে চিনস? তুই এমনে কথা বলস কেন? আর একটা কথা বললে তোর হাত পা কেটে ফেলব।’ উনাকে আমি চিনতাম না, উনাকে সালাম না দেয়ায় এমন আচরণ করে আমার সাথে।
সেলিম আহমেদ বলেন, বিভাগের জুনিয়রকে ধমকানো হয়েছে জানতে পেরে আমি তার (ফাহিম) কাছে বিষয়টি কি হয়েছে জানতে চাই। কিন্তু উনি আমাকে কথাবার্তার এক পর্যায়ে পাঞ্জাবি ধরে হল-গেইটে মারধর করেন।
এবিষয়ে মারধরকারী সিনিয়র শিক্ষার্থী ফাহিম বলেন, হলের সিনিয়র হওয়ায় আমি তাকে (মীরহাম) সতর্ক করার জন্য প্রভোস্টের রুমের সামনে উচ্চস্বরে কথা না বলতে নিষেধ করি। কিন্তু সে আমার সাথে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করার পাশাপাশি তার বন্ধুদের নিয়ে আসে আমাকে মারার জন্য। কিন্তু সেলিম আমাকে একই বিষয়ে জিজ্ঞেস করে আমার উপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করে। একপর্যায়ে আমার দিকে তেড়ে আসলে তাকে আঘাত করি। পরবর্তীতে সেও আমাকে পাল্টা আঘাত করে।
হল ছাড়ার নির্দেশনার বিষয়ে ফাহিম বলেন, জুনিয়রকে মারধর করাটা আমার ঠিক হয়নি। তাই, স্যাররা হয়তো এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কিন্তু এটা যদি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়, আমার আক্ষেপ থাকবে।
সার্বিক বিষয়ে বঙ্গবন্ধু হলের প্রভোস্ট মোকাদ্দেস-উল-ইসলাম বলেন, আমরা প্রাথমিক সিদ্ধান্তনুযায়ী ফাহিমকে (প্রথমে মারধরকারী) এ মাসের মধ্যে হল ছেড়ে দেয়ার নির্দেশনা দিয়েছি। পরবর্তীতে হলবডির সবাইকে নিয়ে বসে এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাব।