আপত্তিকর অবস্থায় আটক
মুচলেকা নিয়ে অভিভাবকের জিম্মায় ইডেন ছাত্রী, ইবি ছাত্রকে শোকজ
- ইবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ০৬ মার্চ ২০২৩, ০৭:৫৮ PM , আপডেট: ০৬ মার্চ ২০২৩, ০৭:৫৮ PM
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) আপত্তিকর অবস্থায় এক প্রেমিক যুগলকে আটক করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আজ সোমবার (৬ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় লেকে এ ঘটনা ঘটে। পরে লিখিত মুচলেকা নিয়ে তরুণীকে অভিভাবকের জিম্মায় তুলে দেওয়া হয়। আর প্রেমিককে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শোকজ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রেমিক যুগলদের একজন ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী সবুজ (ছদ্মনাম) এবং অপরজন রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজের প্রথমবর্ষের ছাত্রী রেহানা (ছদ্মনাম)।
আটক তরুণ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ও লালন শাহ হলে থাকেন। তার বাড়ি দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার সুজালপুর গ্রামে। আর তরুণী ইডেন মহিলা কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্রী বলে জানা গেছে। তার বাড়ি খুলনার পাইকগাছা উপজেলার আলমতলা গ্রামে।
জানা যায়, ফেসবুকে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় তাদের। গত শনিবার (৪ মার্চ) ছেলের আহবানে সাড়া দিয়ে ক্যাম্পাসে আসেন মেয়েটি। দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ওই ছেলের এক বান্ধবীর কাছে অবস্থান করছিল মেয়েটি। ক্যাম্পাস এলাকায় এভাবেই চলে গত দুইদিন। তবে আজ আপত্তিকর অবস্থায় তাদের আটক করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা। ইবির লোক প্রশাসন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থী ইডেনের ছাত্রী ও ইবির সেই ছাত্রের সঙ্গে প্রমের সম্পর্ক করিয়ে দেয়। এরপর তাদের নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া হয়।
আরও পড়ুন: ইবি ছাত্রের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় আটক ইডেন ছাত্রী
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ বিশ্ববিদ্যালয় লেকের ব্রিজের কাছে একটি বেঞ্চে বসে ছিলেন ওই প্রেমিক যুগল। এসময় আপত্তিকর অবস্থায় পাওয়া যায় তাদের। শিক্ষার্থীরা বিষয়টি দেখে আওয়াজ তুললেও তারা একই অবস্থায় সেখানে অবস্থান করেন। পরে অবস্থা বেগতিক দেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তাকে তারা সংবাদ দেন। তাৎক্ষণিকভাবে তিনি সেখানে এসে একই অবস্থায় দেখতে পেয়ে প্রক্টরিয়াল বডিকে জানান।
খবর পেয়ে প্রক্টরের দায়িত্বে থাকা ড. আমজাদ হোসেন ঘটনাস্থলে যান এবং তাদের প্রক্টর অফিসে ডেকে পাঠান। পরে সেখানে প্রেমিক ও প্রেমিকার পরিবারের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেন তিনি। একপর্যায়ে অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলে তাদের কাছ থেকে মুচলেকা নেন প্রক্টর। পরে তরুণীকে অভিভাবকের জিম্মায় তুলে দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরীন বলেন, ছেলেমেয়ের অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলে মেয়েকে তার পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। ওই ছেলেসহ যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোড অব কন্ডাক্ট ভঙ্গ করেছেন তাদের শোকজ করা হবে।