বৃহস্পতিবারের ছুটি বাতিল চান বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়  © ফাইল ছবি

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় প্রায় ছয় মাস ধরে প্রতি বৃহস্পতিবার বন্ধ রয়েছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি)। এতে সপ্তাহে তিনদিন (বৃহস্পতিবার, শুক্রবার ও শনিবার) বন্ধ থাকছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। সপ্তাহে তিনদিনের ধারাবাহিক ছুটিতে নানা ধরনের সমস্যা ও জটিলতায় ভুগছেন শিক্ষার্থীরা। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়টি তাদের নজরে রয়েছে।

শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার ও শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সাপ্তাহিক ছুটি থাকে। তারপর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সাশ্রয়ে এ দুইদিনের সঙ্গে বৃহস্পতিবারের ছুটিও যুক্ত করা হয়। এতে করে প্রতি সপ্তাহে টানা তিনদিন ছুটি হয়ে যাচ্ছে। ছুটির দিনে ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় মেডিক্যাল, বাস, লাইব্রেরি ও সেমিনার সুবিধাসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের দেবাশীষ রায় বলেন, লাইব্রেরি বিশ্ববিদ্যালযের গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গা, যা সার্বক্ষণিক খোলা রাখা উচিত। কিন্তু আমাদের লাইব্রেরি খুবই কম সময় খোলা থাকে। আগে দুইদিন বন্ধ থাকতো, এখন তিনদিন বন্ধ থাকায় আমরা লাইব্রেরিতে পড়তে পারছি না।

আরও পড়ুন: উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবাসীদের ভর্তির সুযোগ

দেবাশীষের অভিযোগ এতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটছে। অসুস্থ হলে বাইরে ওষুধ কিনতে হচ্ছে এবং বাস চালু না থাকায় ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের। তাই সকল বিষয় বিবেচনা করে তারা প্রশাসনের কাছে বৃহস্পতিবারের অতিরিক্ত ছুটি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।

বিষয়টি নিয়ে বেশ সরগরম যাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পেজ-গ্রুপগুলো। এসব পেজ-গ্রুপে এবং অনেকে নিজেদের ফেসবুক প্রোফাইলেও নিজেদের মতামত তুলে ধরছেন।

জাহিদুর রহমান নামে এক শিক্ষার্থী ফেসবুকে লিখেছেন, বৃহস্পতিবারের অতিরিক্ত ছুটি বাতিলের দাবিতে প্রয়োজনে আন্দোলন করতে প্রস্তুত রয়েছি। বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাস খোলা রাখাটা এখন সময়ের দাবি। আমরা জটের কবলে পড়ে কতটা শোচনীয় অবস্থা এবং দুশ্চিন্তায় আছি তা শুধু আমরাই জানি। বিশেষ করে সাইন্স ফ্যাকালিটির অবস্থা খুবই খারাপ।

এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হাসিবুর রশীদের সভাপতিত্বে অনলাইনে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের ৪১তম জরুরি সভায় প্রতি বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাস বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ ছাড়া আগে থেকেই প্রতি সপ্তাহে বিশ্ববিদ্যালয়টির শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি চলমান ছিলো।

জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক হাসিবুর রশীদ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা চলছে। এখন যেহেতু শিক্ষার্থীরা চাচ্ছে, তাদের দাবিটিও আমাদের নজরে রয়েছে। বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাস খোলা রাখা যায় কিনা সামনে একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় আমরা এ বিষয়ে আলোচনা করবো।


সর্বশেষ সংবাদ