ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের নিয়োগ স্থগিত
- ইবি প্রতিনিধি
- প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০২২, ০৯:০৩ AM , আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০২২, ০৯:০৩ AM
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) নতুন করে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সব ধরনের জনবল নিয়োগ স্থগিত করছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। একইসঙ্গে এ সংক্রান্ত তথ্য যাচাইয়ে ছয় সদস্যের একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটি সরেজমিন বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করে এসব বিষয় খতিয়ে দেখবে। মঞ্জুরি কমিশনের একাধিক সদস্য এ তথ্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সরকারি বেতন স্কেল ভায়োলেশন করে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অতিরিক্ত স্কেল প্রদান, অধিক ইনক্রিমেন্ট দেওয়া, প্রকল্পের কাজ নিয়ে অভিযোগসহ বিভিন্ন অনিয়মের কারণে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।
ইউজিসির কমিটিতে অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগমকে আহ্বায়ক ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মৌলি আজাদকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। কমিটির অন্য চার সদস্য হলেন সদস্য অধ্যাপক ড. আবু তাহের, সচিব ড. ফেরদৌস জামান, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সিনিয়র সহকারী পরিচালক ইউসুফ আলী খান এবং অর্থ ও হিসাব বিভাগের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (অডিট) রবিউল ইসলাম।
জানা যায়, ইউজিসির অডিট আপত্তি থাকা সত্ত্বেও কর্মকর্তাদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৯ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫৫তম সিন্ডিকেটে কর্মকর্তাদের (শর্ত সাপেক্ষে) বেতন স্কেল বাড়ানো হয়। ইউজিসির দাবি, কর্মকর্তাদের বেতন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ‘স্কেল জাম্পিং’ করা হয়ে থাকতে পারে। স্কেল জাম্পিংয়ের বিষয়টি খতিয়ে দেখবে ইউজিসি।
কমিশনের অফিস আদেশে বলা হয়েছে, কমিটি জনবলের চাহিদার যৌক্তিকতা ও প্রয়োজনীয়তা যাচাই-বাছাই করবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমোদিত অর্গানোগ্রাম, বিদ্যমান জনবল ও জনবলসংক্রান্ত আর্থিক নথিপত্র এবং সরকার ও ইউজিসি কর্তৃক অনুমোদিত নীতিমালা পর্যালোচনা করে মতামত দেবে।
ইউজিসি সদস্য ফেরদৌস জামান বলেন, সরকারি বেতন স্কেল ভায়োলেশন করে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অতিরিক্ত স্কেল প্রদান, অধিক ইনক্রিমেন্ট দেওয়াসহ বেশ কিছু অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ নিয়েও অনিয়মের অভিযোগ আছে। এ কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে জনবল নিয়োগ দেওয়া স্থগিত করা হয়েছে। এ মাসের শেষদিকে পরিদর্শন টিম বিশ্ববিদ্যালয়ে যাবে এবং বিষয়গুলো নিয়ে খোঁজ নেবে।