৪৩তম বিসিএস নন-ক্যাডারের ফল বাতিল চেয়ে আইনি নোটিশ

পিএসসি
পিএসসি  © সংগৃহীত

গত ২৬ ডিসেম্বর প্রকাশিত ৪৩তম বিসিএস এর নন-ক্যাডারের ফলাফল বাতিল, ৪৩তম বিসিএস নন-ক্যাডার প্রার্থীদের মেধা তালিকা প্রকাশ এবং ৪৪তম বিসিএস এর চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার আগ পর্যন্ত শূন্য হওয়া নন ক্যাডার পদে ৪৩তম বিসিএস নন-ক্যাডারদের সুপারিশ অব্যাহত রাখার জন্য এই আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যানসহ তিনজনকে রেজিস্টার্ড  ডাক যোগে নোটিশটি পাঠানো হয়েছে। 

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব ৪৩তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী মো: মারুফ হোসেন, মো. হাসান সরদার, মো: ফারুকুল ইসলামসহ ৫০০ জনের পক্ষে নোটিশটি পাঠিয়েছেন। 

নোটিশে বলা হয়েছে, ৪৩তম বিসিএস পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর প্রকাশিত হয়। প্রিলিমিনারি পরীক্ষার পরে ওই বিসিএসে সর্বমোট ৯৮৪১ জন পরীক্ষার্থী লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। পিএসসি গত ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৩  নন-ক্যাডার পদে চাকরি করতে ইচ্ছুক এমন প্রার্থীদের অনলাইনে পছন্দ কম আহ্বান করে। পরবর্তীতে গত ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩ বিভিন্ন ক্যাডার সার্ভিস পদে ২১৬৩ জনকে এবং একই সাথে ৬৪২ জনকে বিভিন্ন নন-ক্যাডার পদে সুপারিশ করা হয়। অথচ নন-ক্যাডার মেধা  তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। যেটি ‘নন-ক্যাডার পদে নিয়োগ (বিশেষ) বিধিমালা ২০১০, সংশোধিত ‘বিধিমালা ২০১৪’ এর পরিপন্থি। 

নোটিশে আরো বলা হয়েছে, ৪৩তম বিসিএস সার্কুলারে বলা হয়েছিল যে, সংশ্লিষ্ট বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কিন্তু পদ স্বল্পতার কারণে বঞ্চিত নন-ক্যাডার প্রার্থীদের নন ক্যাডার পদে নিয়োগ (বিশেষ) বিধিমালা ২০১০, সংশোধিত ‘বিধিমালা ২০১৪’ অনুযায়ী সুপারিশ করা হবে। উক্ত বিধি অনুযায়ী পিএসসি বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে আসা পদগুলিকে সংরক্ষণ করবেন এবং পরবর্তী বিসিএস এর চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার আগ পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট বিসিএসর নন-ক্যাডার প্রার্থীদের ধাপে ধাপে সুপারিশ করবেন। কিন্তু পিএসসি নন-ক্যাডারদের মেধা তালিকা প্রকাশ করার না করেই সম্পূর্ণ অন্যায় এবং বিধি বহির্ভূতভাবে ৬৪২ জনকে বিভিন্ন নন ক্যাডার পদে সুপারিশ করেছে যা আইনের দৃষ্টিতে অন্যায়। সুতরাং তা বাতিল করা আবশ্যক। 

নোটিশকারীর পক্ষে আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহম্মদ হুমায়ন কবির বলেন, "নন-ক্যাডার প্রার্থীদের পূর্ণাঙ্গ ফলাফল প্রকাশ না করা এবং ফলাফল প্রকাশের আগেই নন-ক্যাডার প্রার্থীদের পছন্দক্রম আহ্বান করা সংশ্লিষ্ট নন-ক্যাডার নিয়োগ বিধিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এটি অনাকাঙ্ক্ষিত এবং দুঃখজনক। দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে মেধাবী হাজার হাজার উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের বিষয়টি স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করা পিএসসির সাংবিধানিক দায়িত্ব। ইতিমধ্যে অনেক চাকরিপ্রার্থীর বয়সসীমা অতিক্রম হওয়ায় তারা অন্য কোন সরকারি চাকরিতে আবেদনও করতে পারবেন না। ফলে তারা চরম হতাশায় নিমজ্জিত হয়েছে। 

“আশা করি পিএসসি আগামী তিন কার্য দিবসের মধ্যেই ৪৩তম বিসিএস নন ক্যাডারের ফলাফল বাতিল করে  ৪৩তম বিসিএস নন ক্যাডার প্রার্থীদের মেধা তালিকা প্রকাশ করবেন। পাশাপাশি ৪৪তম বিসিএসর চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণার আগ পর্যন্ত শূন্য হওয়া নন ক্যাডার পদে ৪৩তম বিসিএস নন-ক্যাডারদের সুপারিশ অব্যাহত রাখবেন। এর ব্যত্যয় হলে নোটিশকারীদের পক্ষে দ্রুতই উপযুক্ত আদালতে ন্যায় বিচার চেয়ে আবেদন করা হবে।"


সর্বশেষ সংবাদ