‘পাতার দাম ২১ পয়সা হলে চারটির দাম কত’—৪৫তম বিসিএসের প্রশ্ন

বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্ন নিয়ে চলছে আলোচনা
বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্ন নিয়ে চলছে আলোচনা  © ফাইল ছবি

৪৫তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা শুক্রবার (১৯ মে)। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগে একযোগে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২০০ নম্বরের পরীক্ষায় অংশ নেন আবেদনকারী প্রার্থীরা। মোট ২০০টি প্রশ্নে এ পরীক্ষা হয়েছে।

এখন প্রশ্ন নিয়ে চলছে নানা ধরনের আলোচনা। বিশেষ করে কাট মার্ক কত হতে পারে তা নিয়ে আলোচনা চলছে বেশি। এর বাইরে আরও একটি বিষয় ফেসবুকে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। তা হলো- দু‘টি প্রশ্ন। পরীক্ষার্থীরা বলছেন, প্রশ্ন দুটি অতি সহজ। বিসিএসের মতো পরীক্ষায় এমন প্রশ্ন কেন করা হয়েছে, তার জবাব খুজছেন প্রার্থীরা।

একটি প্রশ্ন, ‘কাগজের একটি বিক্রি হয় ২১ পয়সায়। চার পাতা কত পয়সায় বিক্রি হবে?’ অপশন ছিল, ৪, ৮, ৯৪ ও ৮৪ পয়সা। এর উত্তর হবে ৮৪ পয়সা। আরেকটি প্রশ্ন ছিল, ‘যখন প্রতি ফুট দড়ি ১০ টাকায় বিক্রি হয়, তখন ৬০ টাকায় তুমি কত ফুট দড়ি ক্রয় করতে পারবে?’ এর অপশন ছিল, ৮, ৭, ৬ ও ১০ ফুট। এর জবাব  হবে ৬ ফুট।

এ বিষয়ে পরীক্ষার্থী শান্ত বলেন, ‘এই দুইটা সহজ হয়েছে বলে সবাই এটা নিয়ে ট্রল করতেছে। কিন্তু বাকি কোশ্চেনগুলো কেমন হয়েছে সেটাও আসলে দেখা উচিৎ। গেল বছরগুলোর তুলনায় এবারের প্রশ্নে অনেক সৃজনশীলতা আনয়ন করা হয়েছে। প্রায় ২০টির মতো প্রশ্ন সম্পূর্ণ নতুন ধরনের করা হয়েছে। অন্যান্য বিসিএসে এমন নতুন, সৃজনশীল প্রশ্ন ৫-১০টি থাকে, কিন্তু এবার তার অনেক বেশি ছিলো।’

তিনি বলেন, ‘বেশিরভাগ প্রার্থী এসব কোশ্চেনগুলো নিয়ে কথা না বলে নির্দিষ্ট কোশ্চেন নিয়ে মাতামাতি করছেন। পিএসসি হয়তো স্বাভাবিকের চেয়ে প্রার্থীদের মনোযোগ বেশি আকর্ষণ করতে ওই কোশ্চেনগুলো প্রশ্নে যুক্ত করেছেন।’

এক নারী প্রার্থী বলেন, ‘সবার ধারণা থাকে বিসিএসের প্রশ্ন কঠিন হবে। হয়তো পরিক্ষার্থীদের কনফিউজড করতেই এ ধরনের সহজ প্রশ্ন করে।’ আরেক পরীক্ষার্থী বলেন, ‘সহজ প্রশ্ন করলেও অনেক প্রার্থীর জবাব দিতে গিয়ে বেশি সময় ব্যয় হয়েছে। কারণ অনেকে এটির ভিন্ন জবাব হবে কিনা, তা ভেবেছে অনেক সময় ধরে। এটিও একটি মানসিক পরীক্ষা।’

আরো পড়ুন: ৪৫তম বিসিএসের প্রার্থীদের গচ্চা সাড়ে ৫ কোটি টাকা

৪৫তম বিসিএসে ৭৭ শতাংশ পরীক্ষার্থী অংশ নিলেও অনুপস্থিত ছিলেন ২৩ শতাংশ। এতে আবেদন করেও পরীক্ষায় না দেওয়ায় তাদের প্রায় সাড়ে ৫ কোটি টাকা গচ্চা গেল। এবারের বিসিএসে অংশ নিতে তিন লাখ ৪৬ হাজার পরীক্ষার্থী আবেদন করেছিলেন। অংশ নিয়েছেন দুই লাখ ৬৮ হাজার ১১৯ জন। সে হিসেবে পরীক্ষা দেননি ৭৮ হাজার ৮০৩ জন। 

৪৫তম বিসিএসে নেওয়া হবে দুই হাজার ৩০৯ জন ক্যাডার। আর নন-ক্যাডারে নেওয়া হবে ১ হাজার ২২ জন। এবারই ক্যাডারের পাশাপাশি নন-ক্যাডার পদের সংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে। ক্যাডারের বেশি নিয়োগ হবে চিকিৎসায় ৫৩৯ জন। নন-ক্যাডারের প্রায় অর্ধেক পদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, ৪৫৭ জন।


সর্বশেষ সংবাদ