৩৫ হাজার বেতনে চাকরি নেয়া মুক্তাকে ‘৩৫ আন্দোলন’ থেকে বহিষ্কার

মুক্তা সুলতানা
মুক্তা সুলতানা  © সংগৃহীত

সরকারি চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ করার দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম থেকে মুক্তা সুলতানাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। শুক্রবার (০২ জুন) রাতে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদের সদস্য সচিব মোহাম্মদ রাসেলের এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। মুক্তা সংগঠনটির যুগ্ন আহ্বায়ক পদে দায়িত্বে ছিলেন।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কমিটির সদস্যদের সঙ্গে পরামর্শ ব্যতীত শিক্ষার্থী সমাজের স্বার্থপরিপন্থী কাজ করায় এবং সংগঠনের সদস্যদের/সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিব্রত করায় যুগ্ম আহ্বায়ক মুক্তা সুলতানাকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হলো।

এর আগে মুক্তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে এদিন বেলা দেড়টার দিকে অনলাইনে জরুরি সভা ডাকে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থী সমন্বয় পরিষদ। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে বহিষ্কার করা হয়।

৩৫ আন্দোলনকারীদের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, মুক্তা মানসিকভাবে অসুস্থ এবং বিভ্রান্ত। সকল ৩৫ প্রত্যাশী শিক্ষার্থীকে বিভ্রান্ত না হয়ে আগামী শিক্ষার্থী সমাবেশ সফল তথা ৩৫ বাস্তবায়নের জন্য নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার জন্য অনুরোধ করা হলো।

আরও পড়ুন: সার্টিফিকেট পুড়িয়ে সরকারি চাকরি পাওয়া মুক্তার বেতন ৩৫ হাজার

এদিকে, সংগঠন থেকে বহিষ্কারের বিষয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন মুক্তা। এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে ওই বিবৃতি চ্যালেঞ্জ করে মুক্তা লিখেছেন, ‘‘আমাকে অসুস্থ-বিভ্রান্ত বলার সাহস এরা পায় কী করে? ফান্ডের টাকা ছাড়া যারা ঢাকায় থাকার মতো-খাওয়ার মতো অবস্থা নেই—সে আমাকে অসুস্থ-বিভ্রান্ত ট্যাগ দেয়! ট্যাগ দেয়ার আগে শতবার ভাববেন, আমি অন্তত নিজের টাকায় খাওয়া-পড়ার মানসিকতা রাখি, সাধারণ শিক্ষার্থী এবং বেকারের টাকায় নয়।’’

তিনি লিখেন, চাকরি নেয়া অপরাধ হলে আমি অপরাধী। আমি সরকারবিরোধী নই যে সরকারকে প্রত্যাখ্যান করে অপমানিত করবো। আজকে যে সরকার একজন মুক্তা সুলতানাকে চাকরি দিয়েছে, সে সরকারই কিন্তু বয়সসীমাও বৃদ্ধি করবে। যার মাধ্যমে লাখ লাখ বেকারের কর্মসংস্থানও তৈরী হবে।

এর আগে হতাশাগ্রস্ত হয়ে মুক্তা গত ২৩ মে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক লাইভে এসে ২৭ বছরে অর্জিত সব অ্যাকাডেমিক সার্টিফিকেট পুড়িয়ে ফেলেন। লাইভের বিষয়টি গণমাধ্যমে তুলে ধরা হলে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের দৃষ্টিগোচর হয়। পরে তিনি মুক্তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং তার দপ্তরে আসার জন্য অনুরোধ জানান।

পরে তার সঙ্গে আলোচনার পর প্রতিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মুক্তাকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন ‘এস্টাবলিশমেন্ট অব সিকিউরড ইমেইল ফর গভর্নমেন্ট অ্যান্ড ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টার’ প্রজেক্টে ‘কন্টেন্ট ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সোশ্যাল কমিউনিকেশন অফিসার’ পদে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন। যেখানে তার বেতন ৩৫ হাজার টাকা।


সর্বশেষ সংবাদ