সানজানা আত্মহত্যা করেননি, তাকে হত্যা করা হয়েছে
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৮ আগস্ট ২০২২, ০৪:৫৬ PM , আপডেট: ২৮ আগস্ট ২০২২, ০৫:০৭ PM
রাজধানীর দক্ষিণখান থানার মোল্লারটেক এলাকায় বহুতল ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সানজানা মুসাদ্দিকার মৃত্যুকে আত্মহত্যা নয় তাকে হত্যা বলে অভিযোগ করেছেন মৃতের সহপাঠীরা।
সানজানা হত্যার সঙ্গে তার বাবা শাহীন ইসলাম জড়িত জানিয়ে সহপাঠীরা দাবি করেন, এ ঘটনার তদন্তপূর্বক তাকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দিতে হবে।
রোববার (২৮ আগস্ট) দুপুর ১টায় মহাখালীর ওয়্যারলেস গেট এলাকায় ব্রাক ইউনিভার্সিটির সামনে সানজানার সহপাঠীরা মানববন্ধনে এ দাবি ও অভিযোগ করেন।
মানববন্ধনে সানজানার সহপাঠীরা বলেন, সানজানা খুব ভালো মেয়ে ছিল। সে আত্মহত্যা করতে পারে না। সানজানার বাবা তার ওপর অমানুষিক নির্যাতন করত। তাকে বাসায় এক মাস বেঁধেও রেখেছিল তার বাবা। এসব নির্যাতন এবং বর্বর আচরণের কারণে সানজানার আজকে এই পরিণতি হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ চিরকুট লিখে আত্মহত্যা করা সেই তরুণী ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী
সহপাঠীরা অভিযোগ করে আরও বলেন, যে ভবনটিতে থেকে সানজানা লাফিয়ে পড়েছে বলা হচ্ছে সেটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। তার মরদেহ আমরা দেখেছি, হাত-পা ভাঙেনি বা শরীর থেঁতলেও যায়নি এটা পুরোটা অসম্ভব বিষয়। মৃত্যুর পর আমরা দেখেছি, সানজানার মরদেহের সামনে তার স্বজনরা একটি প্লট নিয়ে আলাপ-আলোচনা করছেন। সানজানার নামে নাকি একটি প্লট রয়েছে। এখন এই প্লট কে পাবে সেটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু সে যে মারা গেল এ বিষয়ে পরিবারের কোনো অনুশোচনা নেই।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা বলেন, সানজানার বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করায় তার মার সঙ্গে এটা নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া হত। সানজানার বাবা নিয়মিত তার মাকে মারধর করতেন। সানজানা এতে বাধা দিতে গেলে তার বাবা তাকেও মারধর করতেন। সানজানার শরীরে আঘাতের অনেক চিন্হ রয়েছে।
এ ঘটনা সুষ্ঠু তদন্তপূর্বক সানজানার বাবা শাহিন আলমকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আইনের আওকায় এনে কঠোর শাস্তির দাবি জানান নিহতের সহপঠীরা।
এদিকে দক্ষিণ থানা সূত্রে জানা যায়, সানজানার মৃত্যুর ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচণার একটি মামলা হয়েছে দক্ষিনখান থানায়। ভিকটিমের মা বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন।
এ বিষয়ে দক্ষিণ থানার উপ-পরিদর্শক মো. ইব্রাহিম বলেন, ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সানজানার মৃত্যুর ঘটনায় আত্মহত্যা প্ররোচণার একটি মামলা হয়েছে। মামলা তদন্ত করার জন্য একজন উপ-পরিদর্শক (এসআই) কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।