বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে এমফিল-পিএইচডি চালু করতে ইউজিসিকে চিঠি

ভালো মানের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বাছাইকৃত বিভাগে পিএইচডি ও এমফিল প্রোগ্রাম অনুমোদন চাইছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি। তারা বলছেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পিএইচডি ও এমফিল প্রোগ্রাম চালুর বিষয়টি বিবেচনা করা এখন জরুরি। সম্প্রতি এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়েছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি।

জানা যায়, গত মাসে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা ও অনুমোদন বিষয়ে কথা বলতে কমিশনের চেয়ারম্যান ড. অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি।এ সময় বিভিন্ন প্রত্যাশাসংবলিত একটি চিঠি ইউজিসির চেয়ারম্যানের হাতে দেয়া হয়।

চিঠিতে পিএইচডি ও এমফিল প্রোগ্রাম বিষয়ে বলা হয়েছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গবেষণালব্ধ পিএইচডি ও এমফিল শিক্ষাক্রম চালুল সুযোগ দেয়া প্রয়োজন। এতে একদিকে যেমন অধিকতর যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষকপ্রাপ্তির সুযোগ সৃষ্টি হবে, তেমনি আর্থ-সামাজিক প্রতিবন্ধকতা নিরসনে দেশের অভ্যন্তরে গবেষণালব্ধ জ্ঞান ব্যবহারের ক্ষেত্রও প্রসারিত হবে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় পিএইচডি ও এমফিল প্রোগ্রাম চালুর বিষয়টি বিবেচনা করাও এখন জরুরি। এক্ষেত্রে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগকে একযোগে উচ্চতর ডিগ্রি দেয়ার অনুমতি না দিয়ে প্রতিটি বিভাগের সক্ষমতা বিচার করে অনুমতি দেয়াটাই সমীচীন হবে।

চিঠিতে বিভাগ বা প্রোগ্রাম চালু ও পাঠ্যসূচি প্রণয়ন, অনুমোদন এবং পরিমার্জনের ক্ষমতা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজকে দেয়ার কথা বলা হয়েছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির অভিযোগ, বর্তমানে নতুন বিভাগ খোলা ও এর পাঠ্যক্রম অনুমোদন কিংবা পরিমার্জন করতে হয় ইউজিসির মাধ্যমে। এ প্রক্রিয়া খুবই ধীরগতির। এর ফলে সময় ও অর্থের ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির সভাপতি ও ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেন বলেন, দেশের কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এখন পাবলিক অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়েও এগিয়ে। তবুও নিয়মের মধ্যে পড়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পিএইচডি-এমফিল প্রোগ্রাম অনুমোদন পাচ্ছে না। আমরা চাই ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভালো বিভাগে এমফিল-পিএইচডি প্রোগ্রামের অনুমোদন দেয়া হোক।

তিনি আরও বলেন, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলেই এগুলো অনুমোদন দেয়া হয়। তাহলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পারবে না কেন? আর ইউজিসির প্রক্রিয়া খুবই ধীর। সিলেবাস অনুমোদনে দেরি হওয়ায় আমরা শিক্ষক নিয়োগ দিলেও তাদের বসিয়ে রাখতে হয়।তাই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চশিক্ষা কার্যক্রমকে গতিশীল করতেই প্রোগ্রাম চালু, সিলেবাস অনুমোদন ও আপগ্রেড আমরা নিজেরাই করতে চাই।

যদিও ইউজিসি বলছে, আইন অনুযায়ী শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার এসব অনুমোদন ট্রাস্টি বোর্ডের হাতে দেয়ার সুযোগ নেই। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি প্রতিনিধি দল এসেছিল। তারা একটি চিঠি দিয়েছেন।  আমি তাদের উদ্দেশে বলেছি, কমিশনের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে এসব বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


সর্বশেষ সংবাদ