শিক্ষার্থীদের সবসময়ই এগিয়ে রাখবে ইউআইইউ’র ‘বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ’

ইউআইইউ’র ‘বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ’
ইউআইইউ’র ‘বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ’  © সম্পাদিত

ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্যচাহিদা পূরণে, স্বাস্থ্যসেবায়, পরিবেশ সংরক্ষণে এবং একুশ শতকের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বড় ধরনের ভূমিকা রাখার সক্ষমতা রাখেন বায়োটেকনোলজিস্টরা। সেজন্য সময়োপযোগী এবং আধুনিক সিলেবাসের মাধ্যমে দক্ষ এবং আগামীর জন্য যোগ্য জনগোষ্ঠী তৈরিতে দেশের সরকারি-বেসরকারি উচ্চশিক্ষালয়গুলোয় পড়ানো হয় বায়োটেকনোলজি এবং জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বা জীব প্রযুক্তি ও জিন প্রকৌশল। 

দেশের উচ্চশিক্ষা খাতে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর হাতে বায়োটেকনোলজি এবং জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সূচনা হলেও সময়ের সাথে সাথে বেসরকারি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বাড়ছে এ বিষয়ের জনপ্রিয়তা। সময়ের চাহিদা বিবেচনায় শিক্ষার্থীদের তেমন একটি সুযোগ সৃষ্টিতে সম্প্রতি দেশের অন্যতম সেরা বেসরকারি উচ্চশিক্ষালয় ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ) চালু করেছে বায়োটেকনোলজি এবং জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। 

আমরা এখানে শিক্ষার্থীদের জন্য সময়োপযোগী সব ধরনের শিক্ষার সুযোগ রেখেছি। তারা এখানে নিয়মিত পাঠ গ্রহণের পাশাপাশি ল্যাবে বিষয়গুলো হাত-কলমে শেখার সুযোগ পাবেড. এস. এম. রফিকুল ইসলাম, বিভাগীয় প্রধান, বায়োটেকনোলজি এবং জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, ইউআইইউ।

ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির বায়োটেকনোলজি এবং জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে শিক্ষার্থীদের জন্য থাকছে হাতে-কলমে শেখার সুযোগ, মানসম্মত গবেষণাগার, আধুনিক ও সময়োপযোগী সিলেবাস এবং মানসম্মত শিক্ষার সুযোগ। এছাড়াও এখানে শিক্ষার্থীদের জন্য থাকছে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতিসহ গবেষণাগার। ইউআইইউ’র বায়োটেকনোলজি এবং জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা বায়োকেমিস্ট্রি, মলিকুলার বায়োলজি, মাইক্রোবায়োলজি, ইমিউনোলজি, সেলবায়োলজি, অনকোলজি এবং জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংসহ ইত্যাদি বিষয়ে একটি সমন্বিত ও পূর্ণাঙ্গ জ্ঞান অর্জনের  সুযোগ পাবেন।

যেখানে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ শেষে শিক্ষার্থীরা আগামী দিনের জন্য যোগ্য এবং সুনাগরিক হিসেবে নিজেদেরকে গড়ে তুলতে পারবে। এছাড়াও ‘বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং’ প্রোগ্রামে জীববিজ্ঞানের বিভিন্ন উচ্চতর বিষয় যেমন—অ্যানিমেল সেল কালচার, প্ল্যান্ট টিস্যু কালচার, ডিএনএ ফিঙ্গারপ্রিন্টিং, রিকম্বিনেন্ট ডিএনএ টেকনোলজি, জিন থেরাপি, জেনোম সিকুয়েন্সিং, ডেভেলপমেন্ট বায়োলজি, স্টেম সেল থেরাপি, ক্যানসার বায়োলজি, রিজেনারেটিভ মেডিসিন, ন্যানোটেকনোলজি, ড্রাগ ডিজাইন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, ভ্যাকসিন ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি বিষয়েও পড়ানো হবে শিক্ষার্থীদের। 

আরও পড়ুন: নবায়নযোগ্য জ্বালানি গবেষণার বাতিঘর ইউআইইউ’র সেন্টার ফর এনার্জি রিসার্চ

এর বাইরে পিসিআর, আরটিপিসিআর, এনএমআর, এইছপিএলছি, স্পেকট্রসকপি, মাইক্রোঅ্যারে, ফ্লো সাইটোমেট্রির মতো বিশেষায়িত প্রযুক্তি নিয়েও শেখার সুযোগ পাবেন শিক্ষার্থীরা। বর্তমানে বায়োটেকনোলজি এবং জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে প্রতিনিয়তই বাড়ছে নতুন নতুন কর্মক্ষেত্রের সুযোগ। এছাড়াও উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন খাতেই রয়েছে এ বিষয়ের স্নাতকদের চাহিদা। পাশাপাশি দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে রয়েছে উচ্চতর পড়াশোনা এবং গবেষণার সুযোগ। 

সম্প্রতি ইউআইইউতে যাত্রা শুরু করা এ বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে হাতে-কলমে শেখার সুযোগ। সেজন্য উচ্চশিক্ষালয়টিতে রয়েছে বিশেষায়িত চারটি ল্যাব। সবগুলো ল্যাবেই শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে আধুনিক এবং সময়োপযোগী সব যন্ত্রপাতি যা একেবারেই নতুন এবং সম্পূর্ণ বিশ্বমানের। এছাড়াও এখানকার শিক্ষার্থীরা স্নাতকের শেষ বর্ষে সুযোগ পাবেন ইউনাইটেড হসপিটাল, এবং অন্যান্য ফার্মা-বায়োটেকনোলজি কোম্পানিগুলোতে ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ—যা তাদের পরবর্তীতে এগিয়ে রাখবে বাস্তব অভিজ্ঞতায়। 

ইআইইউ’র নিজস্ব ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীরা পেয়ে থাকেন উন্নত শিক্ষার পরিবেশ। ছবি: সৌজন্যে প্রাপ্ত।

ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রচলিত ব্যয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জন্য বায়োটেকনোলজি এবং জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে থাকছে উচ্চশিক্ষালয়টির প্রচলিত স্কলারশিপ সুবিধাও। যেখানে মেধার ভিত্তিতে সর্বোচ্চ শতভাগ স্কলারশিপ নিয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাবেন শিক্ষার্থীরা। 

‘‘আমরা শিক্ষার্থীদের সময়োপযোগী বিষয়গুলোই শেখাতে চেষ্টা করবো। ইউআইইউ’র বায়োটেকনোলজি এবং জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে শিক্ষার্থীদের জন্য আধুনিক সব ল্যাব সুবিধা রয়েছে দেশের অন্যান্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায়। আমাদের শিক্ষার্থীরা ক্লাসে যা পড়বে ল্যাবে তা নিজেরা পরীক্ষা করার সুযোগ পাবে। তারা এখানে অনেক বেশি শেখার এবং জানার সুযোগ পাবে’’—দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন ইউআইইউ’র বায়োটেকনোলজি এবং জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক রিফা নাওয়ার এবং মো. বেলাল হোসাইন রিপন।

আরও পড়ুন: বাজার উপযোগী গ্র্যাজুয়েট তৈরিতে অনন্য ইউআইইউ’র স্কুল অব বিজনেস অ্যান্ড ইকোনোমিক্স

সামগ্রিক বিষয় নিয়ে কথা হয় ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) বায়োটেকনোলজি এবং জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান ড. এস. এম. রফিকুল ইসলামের সঙ্গে। বিভাগটির সহযোগী এ অধ্যাপক দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে জানান, আমরা এখানে শিক্ষার্থীদের জন্য সময়োপযোগী সব ধরনের শিক্ষার সুযোগ রেখেছি। তারা এখানে নিয়মিত পাঠ গ্রহণের পাশাপাশি ল্যাবে বিষয়গুলো হাত-কলমে শেখার সুযোগ পাবে। এছাড়াও তাদের জন্য ইন্টার্নশিপের সুযোগ, নতুন নতুন কর্মক্ষেত্র তৈরি এবং তাদের যোগ্যতা প্রমাণের ক্ষেত্র তৈরির জন্য আমরা কাজ করছি। একইসাথে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন ইউআইইউ গ্র্যাজুয়েটরা নিজেদের সক্ষমতার প্রমাণ করে নিজেকে, পরিবারকে, ইউআইইউ’কে এবং সর্বোপরি বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরতে পারে।

সেইসাথে যারা উচ্চ শিক্ষার্থে বা উচ্চতর গবেষণায় নিজেকে নিয়োজিত করতে চান তাঁদের জন্যও থাকবে বিশেষ প্রশিক্ষণ, প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণে পরামর্শ, কোলাবোরেশান এ সাহায্য করা যাতে করে তারা সহজেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছতে পারেন। ফলে ইউআইইউ’র বায়োটেকনোলজি এবং জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা তাঁদের চ্যালেঞ্জগুলোও পড়াশোনা শেষ করার আগেই শিখতে এবং নিজেকে প্রস্তুত করতে পারেন। এর পাশাপাশি তাদের সিলেবাস প্রতিনিয়ত হালনাগাদ করা হবে—যেন তারা সবসময়ই নিত্যনতুন বিষয়ে জ্ঞানার্জন করতে পারেন এবং এগিয়ে থাকতে পারেন—যুক্ত করেন ড. এস. এম. রফিকুল ইসলাম।


সর্বশেষ সংবাদ