ইউল্যাব ছাত্রী ও মডেল তাসনিয়ার আত্মহত্যার কারণ নিয়ে যা জানা গেল 

তাসনিয়া রহমান
তাসনিয়া রহমান  © ফাইল ছবি

গত শুক্রবার সকালে ধানমণ্ডির বাসা থেকে  ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় বেসরকারি ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের (ইউল্যাব) শিক্ষার্থী ও মডেল তাসনিয়া তানজিম ওরফে তাসনিয়া রহমানের মৃতদেহ। পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয় আত্মহত্যা করেছেন তাসনিয়া। 

জানা যায়, সম্প্রতি আশিম খন্দকার নামের ইউল্যাবের এক ছাত্রের সাথে লিভ-ইন রিলেশনে ছিলেন তাসনিয়া রহমান। কিন্তু সংবাদ মাধ্যমে তাসনিয়ার নানা অপরাধ প্রকাশ্য আসতেই আশিম তাকে ছেড়ে যান। এতে ভেঙে পড়েন তাসনিয়া। পরে লাইভে এসে আত্মহত্যার ঘোষণা দেন আলোচিত এই মডেল।

লাইভে আশিম সম্পর্কে তাসনিয়া জানান, ‘‘আশিমের সাথে আমার একটা বাসা নেয়া ছিলো। এখানে আশিম দায়িত্ববোধ থেকে সরে গেছে। আমরা ঠাণ্ডা মাথায় কথা বলতে গেছিলাম কিন্তু আশিম পুরো দায়িত্ব থেকে সরে গেছে। হ্যা আমি একটা অন্যায় করছি ওরে আমি থাপ্পর দিছি। আমাদেরতো স্বামী স্ত্রী হিসেবে চুক্তি আছে, আমি এটা তার ভাই আর মাকেও বুঝিয়েছি। তারা কোন সাহায্য করেনি।’’

তাসনিয়ার ঘনিষ্টরা বলছেন, শোবিজে কাজ করার স্বপ্ন নিয়ে এসে উচ্চাকাঙ্খী বেপরোয়া জীবনের নিয়ন্ত্রণ টানতে না পেরে করুণ পরিণতি বরণ করে নিতে হলো তাসনিয়া রহমানকে। অর্থসংকট ও সর্বশেষ প্রেমিকের সাথে বিচ্ছেদের হতাশায় আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন তাসনিয়া।

তাসনিয়ার অপরাধ কর্মকাণ্ড সম্পর্কে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেটশন (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার জানান, বিভিন্ন সময় মডেল তাসনিয়ার দেওয়া ধর্ষণ ও ব্ল্যাকমেইল মামলাগুলো আমরা তদন্ত করেছি। দেখা গেছে, তিনি যাদের আসামি করেছেন, তারা সবাই সমাজের বিত্তশালী এবং উচ্চবিত্ত লোক। তাদের সঙ্গে তার ভালো সখ্যতা ছিল। তাদের বিরুদ্ধে সে ভুল তথ্য দিয়ে মামলাগুলো করেছেন। ভুল তথ্য দিয়ে যাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে, তারা চাইলে বাদীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করতে পারেন। তার দেওয়া মামলাগুলোর কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি।


সর্বশেষ সংবাদ