পিইসি পরীক্ষা নিতে প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড গঠনের প্রস্তাব

পিইসি পরীক্ষা নিতে প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড গঠনের প্রস্তাব
পিইসি পরীক্ষা নিতে প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড গঠনের প্রস্তাব  © ফাইল ফটো

প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষা নিতে প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর (ডিপিই)। এ সংক্রান্ত একটি খসড়া আইন প্রস্তুত করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। মন্ত্রণালয় এই প্রস্তাব যাচাই-বাছাই করছে। পরবর্তীতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাথে বসে এটি চূড়ান্ত করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

সূত্রের তথ্যমতে, পিইসির জন্য আলাদা শিক্ষা বোর্ড গঠনের প্রস্তাব করা হলেও তাতে ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষা রাখা হয়নি। কারণ মাদ্রাসা শিক্ষার দেখভাল করে মাদ্রাসা মন্ত্রণালয় । যদিও ইবতেদায়ি সমাপনী পরীক্ষা প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে হয়ে থাকে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, পিইসি ও ইবতেদায়ি সমাপনীতে ২৯ লাখের বেশি শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে থাকে। এই বিপুল সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রীর পরীক্ষা নিতে গিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের বিভিন্ন কাজে সমস্যার সৃষ্টি হয়। দ্রুত সময়ের মধ্যে পরীক্ষা ও ফলাফল প্রকাশের কাজ করতে গিয়ে গুরুত্বপূর্ণ অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিজের কাজ ফেলে দৌড়াতে হয় । এ কারণে বিভিন্ন উইংয়ের কাজে ধীরগতি তৈরি হয়। এই বিষয়গুলোর সমাধান করতে ইতোপূর্বে মন্ত্রণালয়কে নির্দেশান দেয়া হয়েছিল। সবকিছু বিবেচনা করেই আইনের খসড়া তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে ডিপিই।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ বলেন, বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা নিতে গিয়ে যে সমস্যার সৃষ্টি হয় সেটি সমাধানের জন্যই আমাদের এই উদ্যোগ। এই বিষয়ে আমরা একটি খসড়া আইন তৈরি করে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। মন্ত্রণালয় শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও দেশের সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি চূড়ান্ত করবে। চূড়ান্ত হলে আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং হবে।

তবে ডিপিই’র এই প্রস্তাবনায় ইবতেদায়ি প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়নি। কারণ ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে পরিচালিত হয়। যদিও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে।

এছাড়া অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা কার্যক্রম প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে না আসার কারণে অষ্টম শ্রেণির সমাপনী পরীক্ষাও এই প্রস্তাবনায় স্থান পায়নি। যদিও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে সাধারণ শিক্ষা বোর্ড ও মাদ্রসাশিক্ষা বোর্ডের অধীনে।


সর্বশেষ সংবাদ