অনশনকারীদের মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ের কর্মসূচিতে আমরা পাশে থাকব: ভিপি নূর
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৪ মে ২০২৫, ০৩:১৭ PM , আপডেট: ২২ জুন ২০২৫, ০৩:১০ PM
৪৩তম বিসিএসের গেজেটবঞ্চিত ক্যাডারদের অনশন কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নূরুল হক নূর বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সমর্থনে আজকে আমরা নেতা হয়েছি। আজকে তারা চাকরি থেকে বঞ্চিত হবে, তা আমরা মানি না। তাদের এই অধিকার প্রতিষ্ঠায় মন্ত্রণালয় ঘেরাওসহ যেকোনো কঠোর কর্মসূচিতে আমাদের সমর্থন থাকবে।’
আজ রবিবার (৪ মে ) রাজু ভাস্কর্যে ১২২ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে অনশনরতদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন নূরুল হক নূর।
যারা আন্দোলনের আইকনিক ফিগার ছিল তাদের আরও স্বোচ্চার হওয়ার কথা জানিয়ে নূরুল হক বলেন, ‘ছাত্র তরুণ ভাইদের এখানে আসা দরকার তাদের পাশে থাকা দরকার। যারা কোটা না মেধা স্লোগান দিলো কোটার বৈষম্যের ক্ষেত্রে, এখন তাদের এখানে দেখা যায় না। আসলে যার যারটা পাওয়া হয়ে গেলে অন্যের কথা অনেকে ভাবে না। এ মনমানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। আমরা যেমন সমাজের পরিবর্তন চাই, তেমনি আমাদের মনমানসিকতার পরিবর্তন দরকার। নিজের স্বার্থের কথা না ভেবে গোটা প্রজন্মের কথা আমাদের ভাবতে হবে। আশা করি তাদের অধিকার আদায়ে তারা বঞ্চিতদের পাশে থাকব।’
আরও পড়ুন: কুয়েটে অচলাবস্থা: শিক্ষক সমিতি সিদ্ধান্ত জানাবে কাল
তিনি বলেন, ‘যদি কেউ কোন ফৌজদারি অপরাধে জড়িত থাকে , যারা ছাত্রলীগের সাথে জড়িত তারা ব্যতীত অন্যদের তো কোনো অপরাধ নেই। তা ছাড়া প্রথম গেজেটে ছাত্রলীগের ৬৯ জন বাদ পড়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয় প্রজ্ঞাপনে ৪৫ জনকে পয়সা খেয়ে তাদের আবার ঢুকানো হয়েছে। আর যারা নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের শিক্ষার্থী, যারা কষ্ট করে পড়াশোনা করে একটা চাকরি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিল, তাদের পরিবারে একটা আনন্দের বন্যা বয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এখন এটা তাদের জন্য অভিশাপের মতো। তারা মনে করছে তার ছেলে কেন বাদ পড়েছে, তার মানে তার ছেলে যেন বিশাল অপরাধ করে ফেলেছে।’
গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি বলেন, ‘জুলাই-পরবর্তীতে আমরা যে নতুন বাংলাদেশে কথা বলছি, সেখানে বাপের পরিচয়ে মেয়ে চাকরি থেকে বঞ্চিত, ভাইয়ের পরিচয়ে বোন বঞ্চিত এটা হতে পারে না। কষ্ট করে পড়াশোনা করে চাকরি পাওয়া থেকে বঞ্চিত করা এটা একটা মানবাধিকার লঙ্ঘন। জুলাই-পরবর্তীতে অনেকেই দেশের বাইরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেছিল। তারা বলেছিল আমার দেশকে পরিবর্তন করেছি ,আমরা দেশ গড়ব। কিন্তু পুরাতন বন্দোবস্তের মতো এ সব কর্মকাণ্ড তরুণদের ডিমটিভেট করে।’