রওশনকে জাপার ‘চেয়ারম্যান’ অন্তর্ভুক্তি চেয়ে ইসিতে চিঠি
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৫ মার্চ ২০২৫, ০৫:২৭ PM , আপডেট: ২৫ মার্চ ২০২৫, ০৫:৩৬ PM

নির্বাচন কমিশনের রেকর্ডে নিবন্ধন নং-১২ জাতীয় পার্টির (জাপা) অনুকূলে জিএম কাদেরকে সরিয়ে দলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও এরশাদপত্নী রওশন এরশাদকে চেয়ারম্যান হিসেবে অন্তর্ভুক্তি চেয়ে ইসি সচিবের কাছে লিখিত আবেদন জমা দিয়েছেন রওশনপন্থী অংশের মহাসচিব কাজী মো. মামুনুর রশিদ। আজ মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিবের কাছে লিখিত আবেদন জমা দেন তিনি।
আবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, জাতীয় পার্টির (নিবন্ধন সংখ্যা-১২) দশম জাতীয় কাউন্সিলে তাকে সর্বসম্মতভাবে মহাসচিব নির্বাচিত করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, বিগত সরকারের নিয়োগপ্রাপ্ত নির্বাচন কমিশন তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। এখন তারা নতুন নির্বাচন কমিশনের কাছে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করছেন।
কাজী মো. মামুনুর রশিদ জানান, ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে জাতীয় পার্টির অভ্যন্তরে মতবিরোধ সৃষ্টি হয়। দলটির তৃণমূল নেতাকর্মীরা নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও, তৎকালীন চেয়ারম্যান জিএম কাদের তা উপেক্ষা করে শেখ হাসিনার আনুকূল্যে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন। সেই সময় শেখ হাসিনা স্বাক্ষরিত মনোনয়নে জাপার ২৬ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেন।
তিনি বলেন, জাতীয় পার্টি যখন অস্তিত্ব সংকটে পড়ে, তখন দলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী রওশন এরশাদ একটি বর্ধিত সভা আহ্বান করেন। ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ অনুষ্ঠিত ওই সভায় সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে জিএম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। একই সঙ্গে ৯ মার্চ জাতীয় পার্টির দশম জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
নির্ধারিত সময়েই রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে জাপার ইতিহাসের অন্যতম বড় ও জাঁকজমকপূর্ণ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। দেশি-বিদেশি সাংবাদিক ও কূটনীতিকদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে রওশন এরশাদকে চেয়ারম্যান, কাজী ফিরোজ রশিদকে কার্যনির্বাহী চেয়ারম্যান এবং কাজী মো. মামুনুর রশিদকে মহাসচিব নির্বাচিত করা হয়। এছাড়া নতুন কো-চেয়ারম্যান ও প্রেসিডিয়াম সদস্যদেরও মনোনীত করা হয়। নির্বাচন কমিশনের কাছে জাতীয় পার্টির বৈধ কমিটি স্বীকৃতি দিয়ে রওশন এরশাদকে চেয়ারম্যান ও তাকে মহাসচিব হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার অনুরোধ জানান তিনি।
এ বিষয়ে ইসির অতিরিক্ত সচিব আলী কেএম আলী নেওয়াজ বলেন, ‘আমরা একটি আবেদন পেয়েছি, এটা আইনগতভাবে কতটুকু যৌক্তিক, কতটুকু যৌক্তিক নয়। একটা রাজনৈতিক দলের নিজস্ব কিছু ক্ষমতা রয়েছে তাদের কমিটি গঠনের এবং নির্বাচন কমিশনের কিছু বিষয় রয়েছে, এগুলো যাচাই করার জন্য। নির্বাচন কমিশনের যতটুকু এখতিয়ার আছে আইনগতভাবে ততটুকু আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষান্তে এ বিষয়ে একটা সিদ্ধান দিতে পারব।’