নারী হেনস্তাকারীদের প্রতিহতে কঠোর বার্তা ইশরাকের

ইশরাক হোসেন
ইশরাক হোসেন  © সংগৃহীত

বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন বলেছেন, ‘নারী হেনস্তাকারী আসলে তৌহিদি জনতা নয়। এরা লেবাসধারী অপরাধী, যারা ইসলামের কলঙ্ক। এদেরসহ সকল পুরুষ, যারা নারী বিদ্বেষী চিন্তাভাবনা লালন করেন, তাদের সতর্কবার্তা দিচ্ছি—যথেষ্ট ছাড় দেওয়া হয়েছে। এরপর আমরা নিজেরাই এদের প্রতিহত করতে মাঠে নামবো।’ 

সোমবার (১০ মার্চ) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এ সব কথা বলেন তিনি।

ওই পোস্টে তিনি লেখেন, নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা হঠাৎ করেই বেড়ে যায়নি। বাংলাদেশে একটি পিতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা বরাবরই ছিল। যার ফলে এই ধরনের ঘটনা ঘটার পর তথাকথিত ‘সালিশ’ ব্যবস্থার মাধ্যমে স্থানীয় মুরুব্বি নামের বদমাইশ ও রাজনৈতিক কুলাঙ্গাররা টাকা খেয়ে বহু যুগ ধরেই এসব অপরাধ ধামাচাপা দেওয়ার কাজ করে আসছে। এছাড়া ৫ আগস্টের পর যখন ‘মব কালচার’ শুরু হয়, তখন থেকেই ‘তৌহিদি জনতা’ নাম ব্যবহার করে কিছু কুলাঙ্গার বদমাইশ নারীদের প্রতি বিদ্বেষ ও হয়রানিতে যুক্ত হয়েছে।  

পোশাক নিয়ে ঢাবি ছাত্রী হেনস্তার বিষয়ে ইশরাক লেখেন, শাহবাগ থানায় আটক হওয়া এক নারী হেনস্তাকারীকে পরবর্তীতে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে কর্তৃপক্ষ। এমনকি তার বিরুদ্ধে মামলা তুলে নিতে বাধ্য হয়েছেন ভুক্তভোগী নারী। যারা রাজনীতি বোঝেন, তারা অবশ্যই স্বীকার করবেন যে, এটা কোনো ক্ষমতাবলয়ের প্রশ্রয় ছাড়া সম্ভব নয়। এখন কারা এই নারী বিদ্বেষী বদমাইশ-ভণ্ডদের আশ্রয় দিচ্ছে, সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত নই।তবে খোঁজখবর নিচ্ছি। 

নারীদের সম্মানহানির ঘটনা ঘটামাত্র নাগরিকদের সেটার বিরুদ্ধে জোরালো অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে ওই পোস্টে ইশরাক লেখেন, যেকোনো মব, যেকোনো লেবাসেই হোক না কেন, তাদেরকে এখন থেকে লাঠি নিয়ে দমন করার আহ্বান জানাচ্ছি। থানা-পুলিশ যেন কোনো চাপে নতি স্বীকার না করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে, সেই আহ্বান জানাচ্ছি। সালিশের নামে ধামাচাপার ঘটনা শুনলে সঙ্গে সঙ্গে থানায় খবর দিন এবং অপরাধীদের হাত-পা বেঁধে পুলিশের কাছে সোপর্দ করুন।


সর্বশেষ সংবাদ