বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী আজ

বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব
বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব  © ফাইল ছবি

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৯৩০ সালের ৮ আগস্ট গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর দিনটিকে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে দিবসটিকে জাতীয় দিবস ঘোষণা করা হয়।

বেগম ফজিলাতুন নেছার ডাকনাম ছিলো রেণু। তার বাবা শেখ জহুরুল হক ও মা হোসনে আরা বেগম। এক ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি ছিলেন ছোট। কবি কাজী নজরুল ইসলামের ভাষায়, বিশ্বে যা কিছু চিরসুন্দর, কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর। মাত্র পাঁচ বছর বয়সে পিতামাতাকে হারানোর পর ১৯৩৮ সালে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন বেগম ফজিলাতুন নেছা। তিনি শুধু বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণীই ছিলেন না, ছিলেন সহযোদ্ধা ও কর্মপ্রেরণাদাত্রী।

আরও পড়ুন: রাবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রয়াণবার্ষিকী আজ।

নিজে পরিবারের সব দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়ে বঙ্গবন্ধুকে জাতির সেবায় মনোনিবেশ করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। এর বাহিরেও রাজনীতির নানা দুঃসময়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুকে দিয়েছিলেন গঠনমূলক পরামর্শ। অফুরান প্রেরণা ও উৎস দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর প্রতিটি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাত্রিতে জাতির পিতার হত্যাকারীদের হাতে নির্মমভাবে শাহাদতবরণ করেন তিনি।

বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে পৃথক বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

দিবসটি উপলক্ষ্যে রাজনীতি, অর্থনীতি, শিক্ষা, সমাজসেবা এবং স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখার জন্য এ বছর পাঁচজন নারীকে ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পদক ২০২২’ দেওয়া হবে। ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে পদক তুলে দেওয়া হবে। অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এছাড়া আজ সকাল ৯টায় বনানী কবরস্থানে বঙ্গমাতার প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ, কুরআন খতম, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করবে আওয়ামী লীগ এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠন।

দিবসটিতে সরকারি কর্মসূচি ছাড়াও আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী সংগঠনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন শ্রদ্ধা নিবেদন, এতিমদের মাঝে খাদ্য বিতরণ, আলোচনাসভা ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করেছে। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক মিডিয়া বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে।


সর্বশেষ সংবাদ