ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়ক পথে ২৬ পয়েন্টে যানজটের শঙ্কা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২৫, ০৫:৩২ PM , আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২৫, ০৫:৩২ PM

ঈদযাত্রায় ঘরমুখো মানুষের চাপ বাড়ছে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে। এতে মহাসড়কে থাকতেত পারে যানজটের চাপ। ইতোমধ্যেই বিভিন্ন অংশে তৈরি হচ্ছে ছোটখাটো যানজট। এবারের ঈদযাত্রায় মহাসড়কটির কুমিল্লার অংশে অন্তত ২৬টি পয়েন্টে তীব্র যানজট সৃষ্টি হতে পারে। ফ্লাইওভার, বাজার এলাকা, টোলপ্লাজা ও সংযোগ সড়কের কারণে এই দুর্ভোগের শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
যানজটপ্রবণ পয়েন্টে হাইওয়ে পুলিশের সহায়তায় তিন শতাধিক রোভার স্কাউট সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবে। হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. খায়রুল আলম এসব তথ্য জানান।
হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এবারের ঈদ যাত্রায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ২৬ পয়েন্টে যানজটের শঙ্কা মাথায় রেখেই হাইওয়ে পুলিশ কাজ করছে। এরই মধ্যে দাউদকান্দি, সদর দক্ষিণ ও চৌদ্দগ্রাম এলাকায় সড়ক ঘেঁষে তৈরি করা তিন শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঈদের সময় যানবাহনের চাপ, যত্রতত্র যাত্রী ওঠানামা ও গাড়ি পার্কিংয়ের ফলে এ ভোগান্তি বাড়ে। পুলিশ জানায়, যানজটপ্রবণ ২৬টি পয়েন্টের মধ্যে অর্ধেকই কুমিল্লা অংশে।
২৬টি পয়েন্ট হচ্ছে—মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি টোলপ্লাজা, গৌরীপুর বাজার, চান্দিনা বাসস্ট্যান্ড, মাধাইয়া বাজার, বুড়িচংয়ের নিমসার বাজার, ক্যান্টনমেন্ট এলাকা, আলেখারচর বিশ্বরোড, পদুয়ার বাজার ইউটার্ন, সুয়াগাজি বাজার, মিয়াবাজার ও চৌদ্দগ্রাম বাজার। এছাড়াও এ সড়কে কুমিল্লার বাইরে মহাসড়কের ফেনীর লালপোল, ভাটিয়ারী পয়েন্ট, ফৌজদারহাট ইউটার্ন, বারবকুণ্ড বাজার, ছোট কুমিরা, কেডিএস মোড় ও সীতাকুণ্ড বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যানজটের শঙ্কা রয়েছে। যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে এসব স্থানে অতিরিক্ত টহল ও বাড়তি নজরদারি রাখা হবে। অতিরিক্ত পুলিশের পাশাপাশি দায়িত্ব পালন করবে স্বেচ্ছাসেবকরাও।
এছাড়া, মহাসড়কে দুর্ঘটনা ঘটলে দ্রুত যান চলাচল স্বাভাবিক করতে অ্যাম্বুলেন্সের পাশাপাশি বিশেষ কুইক রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছে। ১ হাজার ৮০ জন পোশাকধারী পুলিশ এবং ৩৫০ জন কমিউনিটি পুলিশ সড়কে দায়িত্ব পালন করবে। কুমিল্লা রিজিয়নে হাইওয়ে সেক্টরে ২২টি চেকপোস্ট, ৭২টি টহল টিম, ২২টি যানবাহন চেকিং টিম, ৩৮টি ট্র্যাফিক জ্যাম নিয়ন্ত্রণ টিম, ১৩টি বাস স্ট্যান্ড চেকিং টিম, ২২টি সার্বক্ষণিক রেকার টিম, ২৩টি অ্যাম্বুলেন্স, ২২টি কুইক রেসপন্স টিম, একটি কন্ট্রোল রুম ও ৬টি অস্থায়ী কন্ট্রোল রুমসহ স্ট্রাইকিং রিজার্ভ ফোর্স একটি থাকবে। এছাড়া, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে ২০০ জন স্বেচ্ছাসেবক এবং ১০০ জন রোভার স্কাউট সদস্যও মহাসড়কে কাজ করবে।