জাল সনদে বেতন বন্ধ হওয়া শিক্ষকদের জন্য সুপারিশ করবে ডিআইএ, তবে...

প্রফেসর মো. সাইফুল ইসলাম ও সরকারি লোগো
প্রফেসর মো. সাইফুল ইসলাম ও সরকারি লোগো  © ফাইল ছবি

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাল সনদে চাকরি করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বন্ধ হয়েছে শিক্ষকদের বেতন। ফেরত দিতে হয়েছে অতীতে নেওয়া বেতন। এবার সেই শিক্ষকদের বেতন চালু করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করবে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর (ডিআইএ)।

বেতন বন্ধ হওয়া সব শিক্ষকের জন্য সুপারিশ করবে না সংস্থাটি। প্রকৃত ভুক্তভোগী এবং অভিজ্ঞ শিক্ষকদের ক্ষেত্রে সুপারিশ করা হবে। এজন্য তারা প্রাপ্ত আবেদনগুলো সূক্ষ্মভাবে যাচাই-বাছাই করবেন। বন্ধ হওয়া বেতন চালুর ক্ষেত্রে মাস্টার ট্রেইনাররা প্রাধান্য পেতে পারেন।

জানতে চাইলে ডিআইএ পরিচালক প্রফেসর মো. সাইফুল ইসলাম দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘বেতন বন্ধ হওয়া অনেকে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকতা পেশার সাথে যুক্ত রয়েছেন। কেউ ২৫ বছর, কেউ বা ২৮ বছর ধরে শিক্ষকতা করছেন। জাল সনদের অভিযোগ ওঠার পর থেকে তারা সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়েছেন। বেতন বন্ধ হওয়াদের মধ্যে অনেকে মাস্টার ট্রেইনার। বিভিন্ন বিষয়ে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেন। তাদের বেতন পুনরায় চালুর বিষয়ে সুপারিশ করা হতে পারে।’

আরও পড়ুন: বেসরকারি শিক্ষকদের বেতন নিয়ে যা জানালেন মাউশির ডিজি

প্রফেসর মো. সাইফুল ইসলাম জানান, ‘অনেকে সরল বিশ্বাসে বিভিন্ন কোর্সে ভর্তি হয়ে সনদ নিয়েছেন। তার এমপিও হয়েছে। তবে দীর্ঘদিন পর সনদ যাচাইয়ে দেখা যাচ্ছে, যে প্রতিষ্ঠান থেকে সনদ নিয়েছেন সেই প্রতিষ্ঠানের সনদ দেওয়ার বৈধতা নেই। এখানে প্রার্থীর কোনো দোষ আছে বলে আমার মনে হয় না। প্রতিষ্ঠানের দোষ। ফলে এ ধরনের সমস্যা যাদের রয়েছে, তাদের বেতন পুনরায় চালু করার বিষয়ে সুপারিশ করা হবে।

ডিআইএ পরিচালক আরও বলেন, ‘আমরা যখন কোনো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হই, তখন সেই প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে সেভাবে খোঁজ-খবর নেওয়ার সুযোগ থাকে না। অনলাইনে বিজ্ঞাপন দেখে অনেকে ভর্তি হয়ে যান। অনলাইনে প্রতিষ্ঠানের আসল চিত্র বোঝা যায় না। অনেক নামিদামি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যাদের সনদের বৈধতা নেই। তবুও তারা শিক্ষার্থী ভর্তি করছেন, সনদ দিচ্ছেন। এ প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।’


সর্বশেষ সংবাদ