আফগানিস্তানে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য সুখবর আসছে

মাধ্যমিকের নারী শিক্ষার্থীদের জন্য সুখবর আসছে
মাধ্যমিকের নারী শিক্ষার্থীদের জন্য সুখবর আসছে  © ইন্টারনেট

আফগানিস্তানে থমকে আছে মাধ্যমিকের নারী শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়া। এবার তাদের জন্য সুখবর আসছে বলে জানিয়েছেন তালেবান সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিরাজুদ্দিন হাক্কানি। সোমবার (১৬ মে) সংবাদ মাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, মাধ্যমিকের নারী শিক্ষার্থীদের স্কুলে ফেরা নিয়ে শিগগির সুখবর আসছে।

দেশটি থেকে গত আগস্টে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা সেনা প্রত্যাহার করার পর ক্ষমতার আসনে বসে সশস্ত্র গোষ্ঠী তালেবান। গত মার্চের শেষে তারা মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজগামী নারী শিক্ষার্থীদের ক্লাসে যাওয়া বন্ধ করে দেয়।

তবে সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে হাক্কানি দাবি করেন, তালেবান গোষ্ঠী নারী শিক্ষার বিরোধী নয়। তিনি বলেন, ‘আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই— আফগানিস্তানে কেউই নারী শিক্ষার বিরোধী নয়।’

সিরাজুদ্দিন হাক্কানি তার প্রথম টেলিভিশন বক্তব্যে আরও বলেন, মেয়েরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাওয়া শুরু করেছে। মেয়েদের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তির অনুমতি দেওয়ার জন্য একটি পদ্ধতিতে কাজ চলছে বলেও জানান তিনি। এই বিষয়টি নিয়ে শিগগির আপনারা সুখবর জানতে পারবেন বলেও জানান এই তালেবান নেতা।

ক্ষমতায় ফেরার পর তালেবান সরকার অন্তত হিজাব, স্কার্ফ পরার কথা বললেও মুখ খোলা রাখতে পারতেন আফগান নারীরা। কিন্তু মে মাসের শুরুর দিকে তালেবানের সর্বোচ্চ নেতা হাইবাতুল্লাহ আখুনজাদা আফগান নারীদের প্রকাশ্য স্থানে মুখ-ঢাকা বোরকা পরতে হবে বলে আদেশ জারি করেন। কোনো নারী এই নিয়ম না মানলে এবং সরকারের হুঁশিয়ারি অগ্রাহ্য করলে তার পরিবারের পুরুষ সদস্য বা অভিভাবকের কারাদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে এমনটাও জানানো হয়।

১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তালেবানের পূর্বের শাসনকালে নারীদের মুখ ঢেকে বাইরে বের হওয়ার এ নিয়ম চালু ছিল। নারীরা বাইরে কাজ করতে পারতেন না সে সময়, এমনকি মেয়েদের স্কুলে যাওয়া নিষিদ্ধ ছিল। কিন্তু গতবছর আগস্টে তালেবান কাবুল দখলের পর তারা নারী অধিকারকে সম্মান করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে সেই প্রতিশ্রুতি থেকে সরে আসতে শুরু করে তালেবান সরকার।

সূত্র: এএফপি, এনডিটিভি


সর্বশেষ সংবাদ