সাত মিনিটের জন্য বিশ্বের শীর্ষ ধনী এক ইউটিউবার!

ম্যাক্স ফশ
ম্যাক্স ফশ  © সংগৃহীত

মাত্র সাত মিনিটের জন্য বিশ্বের শীর্ষ ধনী বনে গিয়েছিলেন এক ইউটিউবার। এই সাত মিনিট শীর্ষ ধনী এলন মাস্ক ছিলেন দ্বিতীয় নম্বরে। শেয়ারবাজারের ফাঁকফোকর কাজে লাগিয়ে ধনীর তালিকায় শীর্ষে ওঠেন ম্যাক্স ফশ। পরে জালিয়াতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার ভয়ে নিজের কোম্পানি ভেঙে দেন তিনি। এ খবর দিয়েছে এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কীভাবে এটা সম্ভব হলো, কেন-ই-বা নিজের কোম্পানি ভেঙে দিলেন, সেই ব্যাখ্যা দিতে ইউটিউবে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন ম্যাক্স ফশ। সেখানে তিনি দাবি করেন, মাত্র সাত মিনিটের জন্য বিশ্বের শীর্ষ ধনী ছিলেন।

এই ইউটিউবার বলেন, যুক্তরাজ্যে একটি কোম্পানি গঠন করা খুবই সহজ। এখানে কোম্পানি’স হাউস বলতে কিছু একটা আছে। আপনাকে অবশ্যই একটি ফরম পূরণ করতে হবে। কোম্পানির জন্য একটি নামও দরকার পড়েছিল তার। যেটার শেষে ‘লিমিটেড’ রাখতে হয়েছিল।

রসিকতা করে নিজের কোম্পানির নাম ‘আনলিমিটেড মানি লিমিটেড’ রেখেছিলেন ম্যাক্স। এরপর কোম্পানিটি কীসের জন্য, তা নির্ধারণ করতে হয়েছে তাকে। যেমন, ম্যাকারনি, নুডলস, কাসকাস কিংবা একই ধরনের শ্বেতসার জাতীয় পণ্য।

তিনি বলেন, আমি জানতাম না—শ্বেতসার জাতীয় পণ্য আসলে কী। কিন্তু আমার কোম্পানি ঠিক তা-ই উৎপাদন করে। এর পরের ধাপ হলো শেয়ার। তিনি সিদ্ধান্ত নেন এক হাজার কোটি পাউন্ডের শেয়ার ছাড়বেন।

ফশ বলেন, আমি যদি একটি কোম্পানি গঠন করে এক হাজার কোটি পাউন্ডের শেয়ারের নিবন্ধন করি। এরপর প্রতিটি শেয়ার ৫০ পাউন্ডে বিক্রি করে দিই, তখন বৈধভাবেই কোম্পানির মূল্য দাঁড়ায় ৫০ হাজার কোটি পাউন্ড। এভাবেই বিশ্বের শীর্ষ ধনী হয়ে যেতে পারি। মুহূর্তেই আমার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইলন মাস্ককে ছাড়িয়ে যেতে পারি।

যাই হোক, বিনিয়োগকারী পাওয়াটা এতো সহজ না। দুটি চেয়ার ও একটি টেবিল নিয়ে লন্ডনের একটি সড়কে নিজের দোকান স্থাপন করেন তিনি। ম্যাক্স বলেন, আমার তেজোদীপ্ত বক্তব্যের পরেও কেউ এগিয়ে আসছিলেন না। প্রাথমিক বাধা কাটিয়ে ওঠার পর তিনি প্রথম বিনিয়োগকারী পান। এক নারী ৫০ পাউন্ডে তার একটি শেয়ার কিনে নেন।

ভিডিওতে দেখা যায়, কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এরপর ম্যাক্স ফশ একটি চিঠি পেয়েছেন। তাতে সব বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে। জালিয়াতির অভিযোগে আটকে যাওয়ার আগেই তাকে কোম্পানিটি বন্ধ করে সরে পড়তে হয়েছে।


সর্বশেষ সংবাদ