স্কুল খোলার সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে উল্টো সমালোচনার শিকার মামলাকারী

স্কুল খোলার বিরুদ্ধে মামলা করে জুটেছে সমালোচনা।
স্কুল খোলার বিরুদ্ধে মামলা করে জুটেছে সমালোচনা।  © সংগৃহীত

স্কুল খোলার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে একটি জনস্বার্থমূলক মামলা করে আদালতে উল্টো সমালোচনার শিকার হয়েছেন  মামলাকারী। শিক্ষার্থীদের টিকাপ্রাপ্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলে অনলাইন ক্লাস চালু রাখার জন্য আদালতের শরণাপন্ন হয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। এরপরই আদালত মামলাকারীরকে খোঁচা মেরে প্রশ্নবানে জর্জরিত করেন। রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় মামলাটি বাতিল করার জন্য অনুরোধ করেন।এর পরেই মামলাটি খারিজ করে দেয় আদালত।

সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ভারতের কলকাতা হাই কোর্টে চলা এই মামলার শুনানিতে আদালত মামলাকারীর আইনজীবীকে সমালোচনা করেছেন। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলা পরিচালনা করেন।

আরও পড়ুন: ফেসবুকে ‘ক্ষমা’ লিখে আত্মহত্যা ঢাবি ছাত্রের

এসময়, উক্ত মামলার ডিভিশন বেঞ্চর বিচারপতিরা সরাসরি মামলাকারীর আইনজীবীর কাছে তার মক্কেলের সন্তান আছে কি না জানতে চেয়েছেন। এছাড়া, মামলাকারীর সন্তান স্কুলে যায় কি না তা-ও জিজ্ঞেস করেছেন।

কলকাতা হাই কোর্টের ওই মামলার শুনানিতে মামলাকারীর আইনজীবী হিসাবে ঋজু ঘোষাল অংশ নেন। তিনি আদালতকে জানান, রাজ্য প্রশাসন অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে আসতে বলেছে ঠিকই, তবে তাদের প্রত্যেককে টিকা দেয়া হয়েছে কি না তা স্পষ্ট নয়। তার যুক্তি হল, যেহেতু কেন্দ্রীয় সরকারের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে ২০০৭ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে যে সব ছাত্র-ছাত্রীর জন্ম তারা টিকা পাবে না, তাই পড়ুয়াদের অনেককেই টিকা না নিয়ে স্কুলে যেতে হবে। সে ক্ষেত্রে পড়ুয়াদের সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে।

অন্যদিকে, মামলাটির বিপক্ষে শুনানিতে অংশ নেন অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়। তিনি আদালতকে মামলাটি বাতিল করার জন্য অনুরোধ করেন। এর পরেই আদালত মামলাটি খারিজ করে দেয়।

আদালতের বিচারপতিরা এর জবাবে জিজ্ঞেস করেন, ‘আপনি কি অভিভাবকদের থেকেও বেশি চিন্তিত?’ আদালত এর পর একের পর এক প্রশ্ন করতে থাকেন যে, আপনার বাড়ি কোথায়? আপনার সন্তান আছে কি না? তারা কি স্কুলে যায়? এছাড়া মামলাকারীর সমর্থনে অন্য কোনও স্কুল শিক্ষার্থীর অভিভাবকের বক্তব্য নেই কেন, তা-ও জানতে চেয়েছেন আদালত।

আরও পড়ুন: ঢাবিতে ১০৮৫ আসন কমানোর সুপারিশ

প্রধান বিচারপতি এর পর বেশ কিছু প্রশ্ন ছুড়ে দেন মামলাকারীর আইনজীবীকে লক্ষ্য করে। তিনি জানতে চান, ‘‘এই বিষয়ে আপনার এত আগ্রহ কেন?’’ তার পরেই প্রশ্ন করেন, ‘‘কত জন ছাত্রকে টিকা দেওয়া হয়নি, তা কি আপনি জানেন? পরক্ষণেই তিনি মন্তব্য করেন, ‘‘যদি না জানেন, তবে কীসের ভিত্তিতে মামলা করলেন? আপনার সঙ্গে কোনও অভিভাবক নেই কেন? পর্যাপ্ত তথ্য না নিয়েই বা কেন এসেছেন? 

প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, বুঝতে পেরেছি, আমি সরস্বতী পুজোর দিন গ্রামের বাড়ি গিয়েছিলাম। ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে পুজো কাটানোর সুযোগ হয়েছে। ভার্চুয়াল বা অনলাইন বা ডিভাইসে ক্লাস হয় না।


সর্বশেষ সংবাদ