সিগারেট নিষিদ্ধ করছে নিউজিল্যান্ড 

  © প্রতীকী ছবি

ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভেবে তামাক বিক্রি বন্ধ করার পরিকল্পনা করছে নিউজিল্যান্ড। বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) ‘ধূমপানমুক্ত’ প্রজন্ম গড়তেই নিউজিল্যান্ড সরকারের পক্ষ থেকে এমন পরিকল্পনার কথা জানানো হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এমনটি বলা হয়েছে। 

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী বছরই নিউজিল্যান্ডে একটি আইন পাস হবে, যেখানে ২০০৮ সালের পর জন্ম নেওয়া কেউ তাদের জীবদ্দশায় সিগারেট অথবা তামাকজাত পণ্য ক্রয় করতে পারবে না। 

নিউজিল্যান্ডের সহযোগী স্বাস্থ্যমন্ত্রী আয়েশা ভেরাল এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‌‌‘আমরা এটি নিশ্চিত করতে চাই যে, তরুণেরা কখনোই ধূমপান শুরু করবে না। আমরা তরুণদের কাছে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রি অথবা সরবরাহকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করব।’

দেশটির সরকারি পরিসংখ্যানের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, বর্তমানে নিউজিল্যান্ডে যাদের বয়স ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে, তাদের প্রায় ১১ দশমিক ৬ শতাংশই ধূমপায়ী। তবে মাওরি জনগোষ্ঠীর প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে এই হার ২৯ শতাংশ।

এদিকে সরকারের এমন পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছেন নিউজিল্যান্ডের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এ নিয়ে ইউনিভার্সিটি অব ওটাগোর অধ্যক্ষ জ্যানেট হুক বলেন, এটি লোকেদের ক্ষতিকারক পণ্যগুলো ছেড়ে দিতে সাহায্য করবে । পাশাপাশি অল্পবয়স্কদের নিকোটিনে আসক্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যাবে।

বর্তমানে নিউজিল্যান্ডে প্রাপ্তবয়স্কদের ১৩ শতাংশ ধূমপান করে। এক দশক আগেও এই সংখ্যা ছিল ১৮ শতাংশ । নিউজিল্যান্ডে সবচেয়ে বেশি ধূমপান করে মাওরি জনগোষ্ঠীর লোকেরা। জনগোষ্ঠীটির ৩১ শতাংশ মানুষ ধূমপান করে । মাওরি জনগোষ্ঠীর ধূমপানে লাগাম টানতে মাওরি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দেশটির সরকার পরামর্শ করবে বলে জানানো হয়েছে। 

দেশটির সরকার বলেছে, নিউজিল্যান্ডে প্রতি পাঁচজন ধূমপায়ীর মধ্যে চারজনই তাদের বয়স ১৮ বছর হওয়ার আগে ধূমপান শুরু করে। ২০২৫ সালের মধ্যে জাতীয় ধূমপানের হার ৫ শতাংশে নামিয়ে আনতে চায় নিউজিল্যান্ড সরকার।

ধূমপানের কারণে নিউজিল্যান্ডে প্রতিবছর গড়ে প্রায় ৫ হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে। দেশটিতে প্রতিরোধযোগ্য মৃত্যুর যে কয়েকটি কারণ রয়েছে, তার মধ্যে ধূমপান অন্যতম শীর্ষ। 


সর্বশেষ সংবাদ