ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘জিহাদের’ ফতোয়া জারি মুসলিম পণ্ডিতদের
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৪১ PM , আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৪১ PM

বিশ্বের সব মুসলিম ও মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ‘জিহাদ’ করতে আহ্বান জানিয়ে একটি বিরল ধর্মীয় ফরমান বা ‘ফতোয়া’ জারি করেছে বিশিষ্ট ইসলামী পণ্ডিতদের নিয়ে গঠিত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অব মুসলিম স্কলার্স (IUMS)। গত শুক্রবার (৪ এপ্রিল) এই ফতোয়া জারি করা হয়, যার উদ্দেশ্য ছিল অবরুদ্ধ গাজার বাসিন্দাদের ওপর ১৭ মাস ধরে চলা ইসরায়েলি হামলার প্রতিক্রিয়া জানানো। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম মিডেল ইস্ট আই তাদের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
ফতোয়াটি ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন অব মুসলিম স্কলারস (আইইউএমএস)-এর মহাসচিব আলী আল-কারদাঘি দ্বারা জারি করা হয়। আল-কারদাঘি বলেন, "গাজায় ধ্বংসযজ্ঞ বন্ধে আরব ও ইসলামিক দেশগুলোর ব্যর্থতা ইসলামিক আইন অনুযায়ী আমাদের নিপীড়িত ফিলিস্তিনি ভাইদের বিরুদ্ধে একটি বড় অপরাধ হবে।"
এতে বিশেষভাবে গাজার মুসলিমদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের চলমান সহিংসতার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিকভাবে সমন্বিত সামরিক, অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের আহ্বান জানানো হয়েছে। এই ফরমানের মধ্যে ১৫টি দফা রয়েছে, যা ইসরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে উদ্দীপিত করে।
এছাড়া, আইইউএমএস-এর এই ফতোয়ার প্রতি ১৪ জন মুসলিম পণ্ডিত সমর্থন জানিয়েছেন এবং তারা সকল মুসলিম দেশকে ইসরায়েলির সঙ্গে করা শান্তিচুক্তিগুলো পুনঃমূল্যায়ন করার আহ্বান জানাচ্ছেন।
আলী আল-কারদাঘি আরও বলেন, "ইসরায়েলকে অস্ত্র বিক্রি করা বা তাদের পরিবহন পথকে সহায়তা করা এবং শান্তিচুক্তি পুনর্বিবেচনা করা ইসলামের পরিপন্থী।" তিনি বলেন, "গাজার মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা করতে সহায়তা করা কাফের শত্রুকে সমর্থন করার চেষ্টা করা নিষিদ্ধ।"
এই ফতোয়া সুন্নি মুসলিমদের মধ্যে বিশেষ গুরুত্ব বহন করে, কারণ আল-কারদাঘি একজন প্রখ্যাত ধর্মীয় নেতা। তার কথাগুলো বিশ্বের ১৭০ কোটি সুন্নি মুসলমানের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত হয়।