দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টকে অপসারণ, ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন

ইউন সুক-ইওল
ইউন সুক-ইওল  © সংগৃহীত

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলকে অপসারণ করেছেন দেশটির সাংবিধানিক আদালত। শুক্রবার (৪ এপ্রিল) এই রায় দেন আদালত। ফলে দক্ষিণ কোরিয়ার সংবিধান অনুযায়ী, আগামী ৬০ দিনের মধ্যে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।

এই সময় পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সু অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান বিচারপতি মুন হিউং-বে জানান, প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওল সংবিধানে নির্ধারিত ক্ষমতার সীমা অতিক্রম করেছেন এবং তার পদক্ষেপ ছিল গণতন্ত্রের প্রতি গুরুতর আঘাত। ইউন জনগণের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন এবং সামরিক আইন জারি করে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন।

মুন হিউং-বে আরও জানান, এই রায়ের পক্ষে আটজন বিচারপতি একমত ছিলেন।

প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের অপসারণের পর হাজার হাজার মানুষ আদালতের রায় ঘোষণার পর আনন্দে উল্লাস প্রকাশ করেন। তারা স্লোগান দিতে থাকেন, ‘আমরা জিতেছি!’ এই রায়ের মাধ্যমে দক্ষিণ কোরিয়ার কয়েক মাসের রাজনৈতিক অস্থিরতার ইতি ঘটেছে।

তবে ৬৪ বছর বয়সী ইউন এখনো রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে ফৌজদারি বিচারের সম্মুখীন। জানুয়ারিতে তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে গ্রেপ্তার হন, তবে মার্চে আদালত তার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বাতিল করে তাকে মুক্তি দেন।

গত বছরের ৩ ডিসেম্বর এই সংকটের সূত্রপাত হয়েছিল, যখন ইউন সুক-ইওল সামরিক আইন জারি করেছিলেন। তবে মাত্র ছয় ঘণ্টার মধ্যে সংসদ সদস্যরা নিরাপত্তা বাহিনীর বাধা উপেক্ষা করে পার্লামেন্টে প্রবেশ করে এবং এই প্রস্তাব নাকচ করে দেন। পরে ইউন এই আইন প্রত্যাহার করেন এবং দাবি করেন, তার কখনোই জরুরি সামরিক শাসন জারি করার ইচ্ছা ছিল না।

সামরিক আইন ঘোষণার পর কয়েক মাস ধরে প্রতিবাদ চলতে থাকে। তবে আদালতের রায় দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা প্রশমিত করতে সক্ষম হবে কি না, তা এখনো স্পষ্ট নয়।

সূত্র : রয়টার্স


সর্বশেষ সংবাদ