চীনে সব বদলে গেলেও শ্রেণিকক্ষে চক বোর্ডের লেখা বদলায়নি
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ১৪ মার্চ ২০২৫, ০৯:৪৪ AM , আপডেট: ১৪ মার্চ ২০২৫, ০৯:৪৪ AM

চীনে সব বদলে গেলেও শ্রেণিকক্ষের চক বোর্ডে লেখা বদলায়নি বলে জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান মামুন। তিনি জানান, তারা ডাস্ট ফ্রি উন্নতমানের চক বানিয়ে আগের শ্রেণিকক্ষ বদলে ফেলেছে। বাংলাদেশে চক বোর্ড বদলে হোয়াইট বোর্ড আর পরিবেশের জন্য ক্ষতিক্ষর ওয়ান টাইম বোর্ড মার্কার চীন থেকে আমদানি করছি বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে অধ্যাপক কামরুল হাসান এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, চীনা নারী গণিতবিদের নাম ওয়াং হং! ১৯৯০ সালের পরে জন্ম তার। এই ৩৫ বছর বয়সেই শতাব্দী প্রাচীন এক জটিল গণিত সমস্যার সমাধান করেছেন, যার কারণে ধারণা করা হচ্ছে তিনি গণিতের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার ফিল্ডস মেডাল পাবেন।
আজ থেকে ৩১ বছর আগে আমি প্রথম চীনের Xiamen ইউনিভার্সিটিতে গিয়েছিলাম। শহরের নামে ইউনিভার্সিটি। একটি সাদামাটা শহর ও বিশ্ববিদ্যালয়। গত ৩০ বছরে সেই শহর ও বিশ্ববিদ্যালয় শুধু না গোটা চীন বদলে গেছে। সব বদলে গেলেও এরা শ্রেণীকক্ষে চক বোর্ডে লেখা বদলায়নি। বোর্ডের রং কালো থেকে সবুজ করেছে। আর ডাস্ট ফ্রি উন্নতমানের চক বানিয়ে আগের শ্রেণিকক্ষ বদলে ফেলেছে।
আরো পড়ুন: আজ রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ও জাতিসংঘ মহাসচিব
আর আমরা কি করলাম? চক বোর্ড বদলে হোয়াইট বোর্ড আর ওয়ান টাইম বোর্ড মার্কার ব্যবহার শুরু করলাম। এসব চীন থেকে আমদানি করলাম। খরচও বেশি এবং একই সাথে পরিবেশও নষ্ট করে। আমরা আজ পর্যন্ত ডাস্ট ফ্রি চক বানাতে শিখলাম না। সামান্য একটা জিনিস বানাতে পারলে তুলনামূলক পরিবেশ বান্ধব ও কম খরচে উন্নত ক্লাসরুম বানাতে পারতাম।
দেখুনতো ক্লাসরুমটা কত সুন্দর? কেন আমাদের এত বিদেশ প্রীতি? কেন আমাদের এত ফুটানি প্রীতি? দেশে ডাস্ট ফ্রি চক বানিয়ে নিজস্ব টেকনোলজিতে উন্নত সবুজ রঙের বোর্ড বানালে কত ডলার সাশ্রয় হতো? একই সাথে পরিবেশ রক্ষা পেত। কেউ এসব নিয়ে ভাবেই না। ব্যবসায়ীরা আমাদের যা গিলাতে চায় আমরা তাই গিলি। দেশপ্রেম না থাকলে দেশ আগাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।