বাংলাদেশ-ভারত একে অপরকে ভালোবাসি, বন্ধন অটুট থাক: মমতা ব্যানার্জী

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী  © সংগৃহীত

বাংলাদেশ-ভারতের সম্পর্কের উষ্ণতায় বন্দি বিনিময়ের ঘটনা পশ্চিমবঙ্গে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। গত রোববার (৫ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক পানি সীমানায় দু’দেশের মধ্যে ১৮৫ জন বন্দি মৎস্যজীবীর বিনিময় সম্পন্ন হয়। এর মধ্যে ৯৫ জন ছিলেন ভারতের এবং ৯০ জন বাংলাদেশের।  

সোমবার (৬ জানুয়ারি) গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি পরিদর্শনে গিয়ে সদ্য মুক্তি পাওয়া ভারতীয় মৎস্যজীবীদের স্বাগত জানান পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী। তিনি প্রত্যেক মৎস্যজীবীকে ১০ হাজার রুপি করে আর্থিক অনুদান প্রদান করেন।  

মমতা বলেন, এটি ছিল চোখে জল এনে দেওয়া একটি দৃশ্য। বাংলাদেশ ও ভারত দুটি প্রতিবেশী রাষ্ট্র, আমরা একে অপরকে ভালোবাসি। তবে, পরিস্থিতির শিকার হয়ে আমাদের মৎস্যজীবীরা ভুলবশত সীমানা অতিক্রম করেছিলেন। তাদের মুক্ত করতে আমাদের সরকার দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। 

তিনি জানান, মৎস্যজীবীদের শনাক্ত ও সুরক্ষার জন্য তার সরকারের নেওয়া উদ্যোগের মধ্যে অন্যতম হলো মৎস্যজীবী আইডি কার্ড। এই কার্ডের মাধ্যমে আমরা সহজেই জানতে পারি কে কোথায় রয়েছে এবং প্রয়োজনে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে পারি, বলেন মমতা।  

মৎস্যজীবীদের উদ্দেশে মমতা বলেন, আপনারা জলসীমার বাইরে যাবেন না। আগে নিজের জীবন বাঁচান। বেঁচে থাকলে আরও অনেক মাছ পাবেন।  

মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, মাসখানেক আগে বাংলাদেশের মৎস্যজীবীরা ভারতের জলসীমায় ঢুকে পড়লে তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও যত্ন নেওয়ার পর ফেরত পাঠানো হয়। তিনি বলেন, আমরা আশা করি, বাংলাদেশ-ভারতের মৈত্রীর বন্ধন অটুট থাকবে। দু’দেশই একে অপরের প্রতি যত্নশীল।


সর্বশেষ সংবাদ