তিব্বতে চীনের বাঁধ নির্মাণের প্রস্তাব, উদ্বিগ্ন ভারত
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:৪১ PM , আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:৪১ PM
চীনের তিব্বতে ইয়ারলুং জাংবো নদে (ভারত-বাংলাদেশে যার পরিচিতি ব্রহ্মপুত্র) বাঁধ নির্মাণের খবরে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল এ–সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, এ বিষয়ে ভারতের মতামত ও উদ্বেগের কথা চীনকে জানানো হয়েছে।
চীনের এই বাঁধ নির্মাণে খরচ হবে আনুমানিক ১৩ হাজার ৭০০ কোটি ডলার। দেশটির ‘থ্রি গর্জেস’ বাঁধের চেয়ে বড় প্রস্তাবিত এই বাঁধ। এটি নির্মিত হলে তা হবে পৃথিবীর বৃহত্তম বাঁধ। প্রস্তাবিত বাঁধ নিশ্চিতভাবেই দুই ভাটির দেশ ভারত ও বাংলাদেশের নদীপ্রবাহে প্রভাব ফেলবে। ফলে দুই দেশই এ বিষয়ে চিন্তিত।
রণধীর জয়সোয়াল বলেন, অভিন্ন নদীর ক্ষেত্রে ভাটির দেশেরও কিছু অধিকার আছে। রাজনৈতিক ও বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে সেই অধিকারের কথা বারবার জানানো হয়েছে। সেই অধিকার ও স্বার্থের বিষয়ে ভারতের পর্যবেক্ষণ জারি আছে। সরকার সেইমতো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও গ্রহণ করবে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, এ ধরনের প্রকল্প গ্রহণের আগে ভাটির দেশের সঙ্গে আলোচনা করা জরুরি। পরিস্থিতির ওপর ভারত নজর রাখছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হবে।
বস্তুত, চীন এ ধরনের কোনো ওজর–আপত্তিতে কান দেয় না। ২০২০ সালের সংঘর্ষের পর পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর স্থিতাবস্থা বজায় রাখার ভারতীয় দাবিও তারা আজ পর্যন্ত পুরোপুরি মেনে নেয়নি। কাজেই বাঁধ তৈরির সিদ্ধান্ত পুনর্বিচার করবে, এমন সম্ভাবনাও নেই বললেই চলে।
ব্রহ্মপুত্রে জলবিদ্যুৎ প্রকল্প বা এ ধরনের বড় বাঁধ নির্মাণের বিষয়টি অনেক দিন ধরেই আলোচনায় আছে। গণমাধ্যমে এ নিয়ে অনেক লেখালেখিও হচ্ছে। কিন্তু তার মোকাবিলায় দুই ভাটির দেশ ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ প্রচেষ্টার কোনো ইঙ্গিত অতীতে ছিল না, এখনো নেই।
বাঁধ নির্মাণ ছাড়াও লাদাখের কিছু এলাকা নিয়ে হোটন প্রদেশে চীন দুটি নতুন প্রশাসনিক অঞ্চল বা কাউন্টি গড়ে তুলেছে। সম্প্রতি সেই ঘোষণা দিয়েছে তারা। ওই সিদ্ধান্তেরও প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারত।