বাংলাদেশে হিন্দুদের রক্ষায় ভারতের বিশেষ কমিটি

বাংলাদেশে হিন্দুদের রক্ষায় ভারতের বিশেষ কমিটি
বাংলাদেশে হিন্দুদের রক্ষায় ভারতের বিশেষ কমিটি  © সংগৃহীত

বাংলাদেশে বসবাসকারী ভারতীয় নাগরিক ও ভারতের সংখ্যালঘু মানুষের জীবন ও সম্পত্তি রক্ষা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে একটি কমিটি গঠন করেছে সে দেশের সরকার। গঠিত ওই কমিটি বাংলাদেশ-ভারত আন্তর্জাতিক সীমান্তের বর্তমান পরিস্থিতির ওপর ২৪ ঘণ্টা নজর রাখবে বলে জানা যায়। শুক্রবার (৯ আগস্ট) দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিবৃতিতে জানায়, কমিটির সদস্যরা বাংলাদেশে তাদের পদমর্যাদাসম্পন্ন কর্তাদের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগব্যবস্থার মাধ্যমে নাগরিক ও সংখ্যালঘুদের খবর নিয়মিত নেবেন, যাতে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।

এদিকে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এক্স হ্যান্ডেলে জানায়, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে সীমান্তে সতর্ক নজরদারি করছে বিএসএফ। এছাড়া বাংলাদেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে ভারত একটি কমিটি গঠন করেছে।

অমিত শাহ এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, বাংলাদেশে বর্তমান পরিস্থিতির জেরে মোদি সরকার একটি বিশেষ কমিটি গঠন করেছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পরিস্থিতির উপর নজর রাখার জন্য। এই কমিটি বাংলাদেশে তাদের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে। ভারতের নাগরিক, হিন্দু, ও অন্যান্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের যারা সেখানে বাস করেন তাদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বলা হবে। এই কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন, এডিজি বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স ইস্টার্ন কমান্ড।

গঠিত কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন সীমান্ত নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) ইন্টার্ন কমান্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক। অন্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন দক্ষিণবঙ্গ বিএসএফের ফ্রন্টিয়ার হেড কোয়ার্টার্সের ইন্সপেক্টর জেনারেল, ত্রিপুরার বিএসএফের ফ্রন্টিয়ার হেড কোয়ার্টার্সের ইন্সপেক্টর জেনারেল, স্থলসীমান্ত অথোরিটির যোজনা ও উন্নয়ন সদস্য এবং ওই সংস্থার সচিব।

এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাতে যখন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন, তখনও হিন্দুদের নিরাপত্তা বিধানের বিষয়টি উল্লেখ করেছিলেন।

বৃহস্পতিবার রাতে এক্স হ্যান্ডলে তার পোস্টে ড. ইউনূসকে শুভেচ্ছা জানানোর পর নরেন্দ্র মোদি লেখেন, ‘আমরা আশা করি, (বাংলাদেশের) পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে উঠবে এবং হিন্দু ও অন্য ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।’


সর্বশেষ সংবাদ