একাদশে ফেল করেও প্রথম শ্রেণির সরকারি কর্মকর্তা, যেভাবে সফল প্রিয়াল
- টিডিসি ডেস্ক
- প্রকাশ: ১০ জুন ২০২৪, ১১:২৪ AM , আপডেট: ১০ জুন ২০২৪, ১১:২৪ AM
প্রিয়াল যাদব কৃষক পরিবারের সন্তান। শিক্ষাজীবনে এক সময় তাঁব্যর্থ হয়েছেন। কিন্তু কর্মজীবনে সফল তিনি। কঠোর পরিশ্রম এবং অধ্যবসায় একজনকে সমস্ত বাধা অতিক্রম করতে সাহায্য করতে পারে, তা প্রমাণ করেছেন তিনি।
সম্প্রতি ভারতের মধ্যপ্রদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন (এমপিএসসি) রাজ্য পরিষেবা পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করেছে। যদিও সাতজন মহিলা প্রার্থী শীর্ষ দশে জায়গা করে নিয়েছে, তবে সবচেয়ে আলোচিত হলেন প্রিয়াল। তিনি একাদশ শ্রেণিতে ফেল করা সত্ত্বেও ডেপুটি কালেক্টর পদে নির্বাচিত হয়েছেন। ষষ্ঠ স্থান অর্জন করেছেন তিনি।
প্রিয়াল ইন্দোর থেকে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুত হয়েছিলেন। তিনি বলেন, আমি দশম শ্রেণী পর্যন্ত টপার ছিলাম। আত্মীয়দের চাপে একাদশ শ্রেণিতে পদার্থবিদ্যা, রসায়ন এবং গণিত বেছে নিই। যদিও এ বিষয়ে আমার কোনও আগ্রহ ছিল না। ফলে তিনি একাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় পদার্থবিদ্যায় ফেল করেছিলেন। এটি ছিল তাঁর শিক্ষাজীবনের প্রথম এবং শেষ ব্যর্থতা।
প্রিয়াল ২০১৯ সালে মধ্যপ্রদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষায় ১৯তম স্থান অর্জন করে জেলা রেজিস্ট্রার পদের জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০২০ সালে ৩৪তম র্যাঙ্ক পেয়েছিলেন পরীক্ষায়। সমবায় বিভাগে সহকারী কমিশনারের পদে উন্নীত হয়েছিলেন তিনি। বর্তমানে তিনি ইন্দোরে জেলা রেজিস্ট্রার পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
আরো পড়ুন: ভারতের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় চোখ ধাঁধানো ফল প্রত্যন্ত গ্রামের নাসরিনের
গ্রামীণ এলাকা থেকে এসেছেন প্রিয়াল, যেখানে মেয়েদের অল্প বয়সেই বিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তাঁর বাবা-মা তাঁকে পড়াশোনার সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছিলেন। এখন ডেপুটি কালেক্টর হিসাবে কাজ করার সময় প্রিয়াল ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন (ইউপিএসসি) পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
২০২১ সালের মধ্যপ্রদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন পরীক্ষায় ২৯০টি পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। কিন্তু মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টে মুলতুবি মামলার কারণে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণীর (ওবিসি) ২৭ শতাংশ সংরক্ষণের জন্য, ৮৭ শতাংশ পদের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। আদালতের রায়ের পরে বাকি ১৩ শতাংশ পদের ফলাফল শিগগিরই ঘোষণা করা হবে। হিন্দুস্তান টাইমস।