বইয়ের বাঁধাই থেকে মানুষের চামড়া সরিয়ে ফেলল হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়

আর্সেন হাউসেয়ের লেখা বই ‘দে দেসতিনে দো লামো’
আর্সেন হাউসেয়ের লেখা বই ‘দে দেসতিনে দো লামো’  © বিবিসি

যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের একটি বইয়ের বাঁধাই থেকে মানুষের চামড়া অপসারন করা হয়েছে। ৯০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সংগ্রহে ছিল ‘ডেস্টিনিজ অব দ্য সোল’ নামে বইটি। ২০১৪ সালে জানা যায়, এক নারীর চামড়া দিয়ে বইটি বাঁধাই করা হয়েছিল।

বিবিসি এবং এএফপির খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে। হার্ভার্ড ২০১৪ সালের একটি ব্লগ পোস্টে বলেছিল, নৃতাত্ত্বিক গ্রন্থপঞ্জিতে মানুষের ত্বক দিয়ে বই বাঁধাই করা সাধারণ অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল।

ফরাসি লেখক আর্সেন হাউসেয়ের লেখা বইটির প্রথম মালিক ছিলেন চিকিৎসক লুডোভিক বোল্যান্ড। তিনি সে সময় মানসিকভাবে অসুস্থ এক নারীর শরীর থেকে চামড়া নিয়েছিলেন। তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। ওই নারীর লাশের কোনও দাবিদার ছিল না। ১৯৩৪ সালে হার্ভার্ডে আনা হয় বইটি। 

আরো পড়ুন: আইরিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী বাংলাদেশি শিক্ষার্থী

এর আগে ১৮৮০ এর দশকে আর্সেন আত্মা ও মৃত্যু-পরবর্তী জীবন নিয়ে মেডিটেশন বিষয়ক বই ‘দে দেসতিনে দো লামো’ বা ‘ডেস্টিনিজ অব দ্য সোল’  লিখেছিলেন। তিনি বইটি তার বন্ধু বোল্যান্ডকে দিয়েছিলেন বলে জানা যায়। তিনিই চমড়া দিয়ে বইটি বাঁধাই করেন।


সর্বশেষ সংবাদ