গাজায় হামাস যোদ্ধারা আত্মসমর্পণ করেনি: শীর্ষ নেতা

হামাসের পলিট ব্যুরোর সদস্য ইজ্জাত আল রিশক
হামাসের পলিট ব্যুরোর সদস্য ইজ্জাত আল রিশক  © সংগৃহীত

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের পলিট ব্যুরোর সদস্য ইজ্জাত আল রিশক এক বিবৃতিতে বলেছেন, গাজার রাস্তায় অর্ধ-উলঙ্গ করে যে সমস্ত ফিলিস্তিনি নাগরিকের ছবি প্রকাশ করেছে ইসরায়েলের সেনারা, তারা সবাই গাজার বেসামরিক নাগরিক, কেউ হামাসের যোদ্ধা নন। রোববার (১০ ডিসেম্বর) আনাদোলু এজেন্সি এক প্রতিবেদনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

বিবৃতিতে রিশক বলেন, এর মধ্য দিয়ে দখলদাররা একেবারেই প্রকাশ্য একটি হাস্যকর নাটকের অবতারণা করেছে, যা তাদের স্বভাবগত বৈশিষ্ট্য। হামাসের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট বিজয় দাবি করা দখলদারদের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। গাজার রাস্তায় কিছু বেসামরিক ফিলিস্তিনি নাগরিককে অর্ধ-উলঙ্গ অবস্থায় বসিয়ে তাদের পাশে অস্ত্র রেখে ইসরায়েলি সেনারা দাবি করছে যে, তারা সবাই হামাসের যোদ্ধা, কিন্তু এটি মিথ্যা এবং বাস্তব কোনও ভিত্তি নেই। এর বিপরীতে ইহুদিবাদীরা যুদ্ধের ময়দানে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের মুখোমুখি হয়ে সত্যিকারের অভিজ্ঞতা অর্জন করছে। 

হামাসের শীর্স এই নেতা আরও বলেন, যেখানে তারা সামান্য প্রতিরোধের আশা করেছিল সেখানে তারা প্রচণ্ড হামলার মুখে পড়ছে এবং প্রতিদিন তারা তাদের সেনা সদস্য ও অফিসারদেরকে হারাচ্ছে। দখলদার সেনারা যত জায়গায় আগ্রাসন চালানোর চেষ্টা করছে তার প্রত্যেকটি জায়গায় তারা যুদ্ধের মুখোমুখি হচ্ছে। এর পাশাপাশি অবৈধ ইহুদি বসতিগুলোতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা অব্যাহত রয়েছে। ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ যোদ্ধারা আল্লাহর সৈনিক; তারা আত্মসমর্পণ কিংবা পরাজয় চেনে না বরং তাদের মূলমন্ত্র হচ্ছে জিহাদ যেখানে বিজয় অথবা শাহাদাতের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত ফয়সালা হয়। 

এদিকে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকাতয় ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর হামলা ও গণহত্যায় গত ১ দিনে ৩০০ জনসহ এ পর্যন্ত নিহতের মোট সংখ্যা ১৮ হাজার ছাড়িয়ে গেছে এবং মোট আহতের সংখ্যা পোঁছেছে অর্ধলক্ষে। এই হতাহতের অধিকাংশই নারী ও শিশু। 

অন্যদিকে ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের আকস্মিক হামলার মাধ্যমে সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত দড় হাজারেরও বেশি ইসরায়েলি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।


সর্বশেষ সংবাদ

×
  • Application Deadline
  • December 17, 2025
  • Admission Test
  • December 19, 2025
APPLY
NOW!
GRADUATE ADMISSION
SPRING 2026!
NORTH SOUTH UNIVERSITY
Center of Excellence