শিক্ষার্থীদের ক্লাস করতে অস্বীকৃতি, ভাঙতে হচ্ছে স্কুল

স্কুলটি এখন ভেঙে ফেলতে হচ্ছে স্থানীয় প্রশাসনকে
স্কুলটি এখন ভেঙে ফেলতে হচ্ছে স্থানীয় প্রশাসনকে  © সংগৃহীত

ভারতের উড়িষ্যায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার নিহতদের লাশ বাহানগা সরকারি স্কুলে রাখা হয়েছিল। সেই স্কুলটিকে এখন ভেঙে ফেলতে হচ্ছে স্থানীয় প্রশাসনকে। ভালোভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করার পরও শিক্ষার্থীরা ক্লাস করতে রাজি না হওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের। আজ শুক্রবার (৯ জুন) থেকে ভবনটি ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে।

জানা যাচ্ছে, মর্গ হিসেবে ব্যবহারের সময় অভিভাবকরা সে স্কুলে যা দেখেছেন, তাতে সন্তানদের আর সেখানে পাঠাতে তাদের মন সায় দিচ্ছেনা বলে জানিয়েছেন অনেক অভিভাবক।এছাড়াও বিকট দুর্গন্ধ থাকায় পুরো স্কুল ভালোভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে জীবাণুমুক্তও করা হয়েছিল। কিন্তু স্কুল খোলার পর শিক্ষার্থীরা ও অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের সে স্কুলে পাঠাতে রাজি হচ্ছিলেন না। এ পরিস্থিতিতে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি রাজ্য সরকারের কাছে ভবনটি ভেঙে নতুন করে ভবন গড়ে দেওয়ার আবেদন জানায়। অবশ্য ৬৫ বছরের পুরনো স্কুল এটি।

বালেশ্বরের জেলা প্রশাসক বৃহস্পতিবার (৮ জুন) স্কুলটি পরিদর্শন করেন। পাশাপাশি তিনি বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি, প্রধান শিক্ষিকা, অভিভাবকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এসময় তিনি জানান, শিশুরা যাতে বিদ্যালয়ে আসতে ভয় না পায়, সেজন্য তারা  পুরনো ভবনটি ভেঙে নতুন ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা করেছে।

বাহানগা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা প্রমিলা সোয়াইন বলেছেন, আমাদের বিদ্যালয়ের বেশ কিছু জ্যেষ্ঠ শিক্ষার্থী ও এনসিসি ক্যাডেট উদ্ধারকাজে অংশ নিয়েছিল। তবে ঘটনার ভয়াবহতায় অনেক শিশু শিক্ষার্থী ভীত হয়ে আছে। তাদের ভয় কাটাতে আমরা কিছু আধ্যাত্মিক অনুষ্ঠান করারও পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি।

এর আগে, গত শুক্রবার (২ জুন) বালেশ্বর জেলার বাহানগা বাজার স্টেশনে তিনটি ট্রেনের সংঘর্ষে নিহত হয় ২৮৮ জন।তখন স্টেশনের কাছাকাছি স্কুলটিকে অস্থায়ী মর্গ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তবে পরদিন থেকে পচন ধরে মৃতদেহ থেকে দূর্গন্ধ বের হতে শুরু হলে লাশগুলো হাসপাতালের মর্গে সরিয়ে নেওয়া হয়।

সূত্র: এনডিটিভি


সর্বশেষ সংবাদ