তুরস্কে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য রান্না করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৭:২৩ PM , আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০৭:২৮ PM
তুরস্কে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত গাজিয়ানতেপ শহর থেকে বাংলাদেশিদের রাজধানী আঙ্কারায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আঙ্কারায় বাংলাদেশ দূতাবাসের পক্ষ থেকে গাড়ি পাঠিয়ে তাঁদের সেখানে নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ভোর থেকে রাজধানীতে আগে থেকে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের সঙ্গে থাকছেন তারা।
বাংলাদেশ দূতাবাসের শার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স মো. রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, মোট ২১ জন বাংলাদেশিকে গাজিয়ানতেপ থেকে আঙ্কারায় আনা হয়েছে। তাঁরা অন্য বাংলাদেশি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে থাকবেন। তাঁদের জন্য দূতাবাসে ভাত, মুরগির মাংস, আলুভর্তা আর ডাল দিয়ে খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাঁদের প্রায় সবাই গত কয়েক দিন ভাত খেতে পারেননি।
মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, সীমান্ত শহর কাহরামানমারাসে গোলাম সাঈদ নামের একজন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁকে সাধারণ কোনো গাড়িতে করে আঙ্কারায় আনা যাচ্ছে না। দূতাবাসের একটি দল সেখানে পাঠানো হয়েছে। সেখানে গোলাম সাঈদসহ আরও দুজন আছেন। তবে সড়কে ফাটলসহ বিভিন্ন কারণে যাতায়াতে দীর্ঘ সময় লাগছে। গাজিয়ানতেপ থেকে বাংলাদেশিদের আনতেও দীর্ঘ সময় লেগেছে।
দূতাবাসের খাবারের আয়োজনসহ অন্যান্য উদ্যোগকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশিরা। তবে গাজিয়ানতেপ থেকে আঙ্কারায় আসার পথে ভূমিকম্পের তাণ্ডবলীলা দেখে তাঁরা আতঙ্কিত। ১৪ মাস বয়সী সন্তানের মা জামিলা ইয়াসমিন বলেন, ‘দূতাবাসের আয়োজন খুব ভালো ছিল। আমরা এখন খুব ক্লান্ত। গাজিয়ানতেপ থেকে গতকাল বুধবার বিকেলে রওনা দিয়ে বৃহস্পতিবার ভোরে দূতাবাসে পৌঁছেছি। আসার পথে দেখেছি ভূমিকম্পের তাণ্ডবের চিহ্ন। বাড়িঘর ধসে মাটির সঙ্গে মিশে গেছে। আমরা কথা বলার মতো অবস্থায় নেই।’
প্রসঙ্গত, সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে তুরস্ক ও সিরিয়া সীমান্তবর্তী অঞ্চলে আঘাত হানে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প। এতে তুরস্কের আদানা, গাজিয়ানতেপ, মালাতিয়া, হাতায়াসহ বেশ কয়েকটি শহরে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় ১৭ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়াদের উদ্ধারে কাজ চলছে। তবে এতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তীব্র ঠান্ডা, তুষারপাত ও বৃষ্টি।