মার্কিন মুলুকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিক বাংলাদেশি হানিপ, কিনে নেন ১০০ কোটি টাকায়

ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স এন্ড টোকনোলজি
ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স এন্ড টোকনোলজি  © টিডিসি ফটো

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম বাংলাদেশি মালিকানাধীন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয়েছে। ওয়াশিংটন ডিসি সংলগ্ন ভার্জিনিয়ায় ১০০ কোটি টাকায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন প্রকৌশলী আবুবকর হানিপ বিশ্ববিদ্যালয়টি কিনে নেন। এটিই মার্কিন মুলুকে বাংলাদেশি কোন ব্যক্তির পরিচালনায় পুর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়।

জানা যায়, ২০০৮ সালে ভার্জিনিয়ায় ‘ইনোভেটিভ গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি’ নামের এই বেসরকারি উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা। এরপর গত বছরের শুরুর দিকে প্রতিষ্ঠানটির সর্ম্পূণ মালিকানা গ্রহণ করেন বাংলাদেশি উদ্যোক্তি হানিপ। এরপর বদলে যায় বিশ্ববিদ্যালয়টির নামও। হয়ে যায় ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সাইন্স এন্ড টোকনোলজি। 

বর্তমানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে তথ্যপ্রযুক্তি, সাইবার সিকিউরিটি, বিবিএ, এমবিএসহ বিভিন্ন বিভাগে গ্র্যাজুয়েজ, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট, প্রফেশনাল ডিগ্রিতে ১০০-এরও বেশি দেশের ৭০০ শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন। তবে এদের সিংহভাগই বাংলাদেশি শিক্ষার্থী । গত এক বছরে প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থী এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছেন বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে। 

আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম বাংলাদেশি মালিকানাধীন বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু

বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রেসিডেন্ট ড. হাসান কারাবুর্ক বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের নামকরা শিক্ষকরা এখানে ক্লাস নিচ্ছেন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল লক্ষ্য হলো কারিগরি ও সাধারণ শিক্ষায় পাঠাদান করা। 

বিশ্ববিদ্যালয়টির উদ্যোক্তা ও চ্যান্সেলর আবুবকর হানিপ বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুধু ডিগ্রি নিয়ে নয়, স্কিল নিয়েও প্রতিটা শিক্ষার্থী বের হচ্ছে। এরপর তারা বিভিন্ন সেক্টরে জব পাচ্ছেন।

তিনি আরও জানান, শিগগির এটি ওয়াশিংটন ডিসির স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তরিত হবে এবং এতে খরচ হবে ৩০০ কোটি টাকা।

তথ্যমতে, ২০২১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ভার্জিনিয়ায় এই উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। এ উপলক্ষ্যে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

সেই সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর ইতিহাসে আরেকটি অধ্যায়ের সংযোজন ঘটলো যুক্তরাষ্ট্রের এই বিশ্ববিদ্যালয় চালুর মধ্য দিয়ে। বহুজাতিক এ সমাজে কেবল প্রবাসীদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথেই নয়; বাংলাদেশের মেধাবিদের দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে এই প্রতিষ্ঠান ভূমিকা রাখবে বলে নিজের আশার কথাও জানান তিনি। 

স্বাগত বক্তব্যে ওই ইউনিভার্সিটির উদ্যোক্তা প্রকৌশলী আবুবকর হানিপ বলেছিলেন, প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি, কারিগরি শিক্ষাও দেয়া হবে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে। যেন গ্র্যাজুয়েশন শেষ করার সাথে সাথেই সবাই চাকরি পেয়ে যান।

“যুক্তরাষ্ট্রে অসংখ্য শিক্ষার্থী ব্যাচেলর এবং মাস্টার্স সম্পন্ন করেও মাসের পর মাস চাকরি পান না উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেক দপ্তরেই পূর্ব অভিজ্ঞতা লাগে। অভিজ্ঞতা না থাকলে আইটি সেক্টরে কখনোই চাকরি পাওয়া যায় না। এই ইউনিভার্সিটিতেসে ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।”


সর্বশেষ সংবাদ