চিকিৎসায় নোবেল জয়ীকে পুকুরে ফেলে সহকর্মীদের আনন্দ উদযাপন

সহকর্মীরা সোভান্তে পেবোকে পুকুরে ফেলেন
সহকর্মীরা সোভান্তে পেবোকে পুকুরে ফেলেন  © সংগৃহীত

চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেলজয়ী সোভান্তে পেবোকে পুকুরে ছুড়ে আনন্দ উদযাপন করছেন সহকর্মীরা। ভিডিওতে দেখা যায়, আনন্দে আত্মহারা সহকর্মীরা এসভান্তে পেবোকে কোলে তুলে পুকুরে ছুড়ে ফেলেন। কিন্তু যাতে ডুবে না যান সেজন্য লাইফ বয়াও ছুড়ে দেন তারা। উদযাপনের দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।  

তাৎপর্যপূর্ণ গবেষণার মাধ্যমে এসভান্তে পেবো আপাতদৃষ্টিতে অসম্ভব কিছু উদ্ঘাটন করেছেন। তিনি বর্তমান সময়ের মানুষের বিলুপ্ত নিকটাত্মীয় নিয়ান্ডারথালের জিন মানচিত্র তৈরি করেছেন। তিনি আমাদের অজানা হোমিনিন ডেনিসোভার অস্তিত্বও আবিষ্কার করেছেন।

নোবেল কমিটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ২০২২ সালে চিকিৎসাবিজ্ঞান ও শরীরতত্ত্বে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন সুইডেনের জিনবিজ্ঞানী সোভান্তে পেবো। বিলুপ্ত হোমিনদের জিনোম এবং মানবজাতির বিবর্তন বিষয়ে গবেষণার জন্য এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে তাকে।

নোবেল কমিটি বলছেন, ‘তাৎপর্যপূর্ণভাবে পেবো এটাও দেখিয়েছেন, প্রায় ৭০ হাজার বছর আগে আগে আফ্রিকা থেকে অভিবাসনের পর এই বিলুপ্ত হোমিনিন থেকে হোমো সেপিয়েন্সে জিনগত স্থানান্তর ঘটে। বর্তমান সময়ের মানুষের কাছে জিনের এই প্রাচীন সেই জিনের শারীরবৃত্তীয় প্রয়োজনীয়তা এখনও রয়ে গেছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আমাদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা কোনো সংক্রমণের ক্ষেত্রে কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে তাতে এসব জিনের প্রভাব রয়েছে।’

আরও পড়ুন: ইরানে হিজাব খুলে প্রতিবাদ করছে স্কুলছাত্রীরা

কমিটি আরও বলেছন, ‘পেবোর মূল গবেষণাটি প্যালিওজেনমিক্স নামে একটি সম্পূর্ণ নতুন বৈজ্ঞানিক ডিসিপ্লিনের জন্ম দিয়েছে। তার গবেষণা জিনগত পার্থক্যগুলোকে উন্মোচিত করেছে যার মাধ্যমে বর্তমান মানুষকে বিলুপ্ত হোমিনিন থেকে আলাদা করে। তার আবিষ্কার আমাদের মানুষ্য প্রজাতির অনন্য হয়ে ওঠার কারণ অন্বেষণের ভিত্তি দিয়েছে।’

১৯৫৫ সালের ২০ এপ্রিল স্টকহোমে জন্ম নেওয়া পেবোর বাবা-মা দুজনই ছিলেন বিজ্ঞানী। মা এস্তোনিয়ান বংশোদ্ভূত কারিনা পেবো ছিলেন একজন কেমিস্ট। আর সোভান্তের বাবা সুনে বার্গস্ট্রম ছিলেন একজন বায়োকেমিস্ট, যিনি বেঙট স্যামুয়েলসেন ও জন আর ভেইনের সঙ্গে যৌথভাবে ১৯৮২ সালে চিকিৎসায় নোবেল পান।


সর্বশেষ সংবাদ