কাল এনটিআরসিএ’র কার্যালয় অবরুদ্ধ করবে ১-১২তম নিবন্ধনধারীরা

সম্প্রতি এনটিআরসিএ’র কার্যালয় অবরুদ্ধ করেন ১-১২তম নিবন্ধনধারীরা
সম্প্রতি এনটিআরসিএ’র কার্যালয় অবরুদ্ধ করেন ১-১২তম নিবন্ধনধারীরা  © ফাইল ছবি

১ম থেকে ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনকৃতদের মাধ্যমে শূন্য পদ পূরণ না করা এবং চাকরি থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) কার্যালয় অবরুদ্ধ করবে ১-১২তম শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা। 

আগামীকাল রবিবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল থেকে এনটিআরসিএ’র কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে কর্মসূচি পালন শুরু করবেন তারা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ‘এনটিআরসিএ’র নিবন্ধিত ১-১২তম নিয়োগপ্রত্যাশী শিক্ষক পরিষদ’র প্রধান সমন্বয়ক আমির আসহাব দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘নিয়োগের নামে আমাদের সাথে তামাশা করেছে এনটিআরসিএ। বার বার আশ্বাস দেওয়া হলেও আমাদের চাকরি দেওয়া হয়নি। তাই নিবন্ধনধারীরা দাবি আদায়ে আগামীকাল এনটিআরসিএ’র সামনে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষকরা কার্যালয়ের সামনেই অবস্থান করবেন।’

এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ২২ ডিসেম্বর থেকে এনটিআরসিএ’র সব কার্যক্রম বন্ধের হুঁশিয়ারি দেন ১-১২তম নিবন্ধনধারীরা।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সংগঠনটির প্রধান সমন্বয়ক জি এম ইয়াসিন ও আমির আহসাব বলেন, ‘নিয়োগ দেওয়ার নামে আকাশচুম্বী দুর্নীতির এক বিরল প্রতিষ্ঠান আছে, যার নাম এনটিআরসিএ; যাকে আমরা অবিশ্বাসী, দুর্নীতিগ্রস্ত গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠান নামে ডাকি। লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়, এ পর্যন্ত পাঁচটি গণবিজ্ঞপ্তিতে যেভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে তার কোনো নিয়োগের সময় এনটিআরসিএ বৈধ সনদধারীদের কাছে তার স্বচ্ছতা সুনিশ্চিত করতে পারেনি। বরং বিগত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ,  দীপু মনি ও মহিবুল হাসান নওফেলের যোগসাজশে দুর্নীতির মহোৎসবে মেতে উঠেছিল।’

এনটিআরসিএতে হওয়া বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ভুলের কথা উল্লেখ করে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘আমরা বঞ্চিত নিবন্ধন সনদধারীদের নিয়োগের অধিকার ফিরে পেতে চাই।

এ লক্ষ্যে আমরা বলতে চাই, সব দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি এবং অনৈতিকভাবে যেসব বৈষম্য সৃষ্টি করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠনের মাধ্যমে সব বৈষম্য দূর করে দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে এবং প্রথম থেকে ১২তম বৈধ নিবন্ধন সনদধারীদের অবিলম্বে নিয়োগের সুনিশ্চিত ঘোষণা দিতে হবে। আর এক মুহূর্তও বিলম্ব নয়, এখনই নিয়োগের সুনিশ্চিত ঘোষণা করতে হবে।’



সর্বশেষ সংবাদ