নতুন শিক্ষকদের যোগদানে ঘুষ চাইলে যা করতে হবে

এনটিআরসিএর কার্যালয়
এনটিআরসিএর কার্যালয়  © টিডিসি ফটো

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) সুপারিশপ্রাপ্ত নতুন শিক্ষকদের যোগদান করাতে কোন কোন প্রতিষ্ঠান প্রধান বা সভাপতি ঘুষ চান বা অনৈতিক সুবিধা দাবি করে থাকেন বলে অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এসব ক্ষেত্রে বলা হয়, ঘূষ না দিলে নতুন শিক্ষককে যোগদান করতে দেয়া হবে না। তবে সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষককে যোগদান করতে না দিলে ফেঁসে যাবেন প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টরা। যোগদানে বাধা দিলে প্রতিষ্ঠান প্রধানের এমপিও বন্ধ হয়ে যেতে পারে। পদ হারাতে পারেন পরিচালনা কমিটির সভাপতিও। বিদ্যমান এমপিও নীতিমালায় বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে বলা আছে। আর কোন প্রতিষ্ঠানের প্রধান বা সভাপতি ঘুষ চাইলে নতুন শিক্ষকদের এনটিআরসিএ কার্যালয়ে অভিযোগ দিয়ে তা জানাতে হবে।

গত বুধবার বিকালে বিভিন্ন এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এন্ট্রিলেভেলের শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য নির্বাচিত ১৯ হাজার ৫৮৬ জন প্রার্থীকে চূড়ান্ত নিয়োগ সুপারিশ করেছে এনটিআরসিএ)। পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করে নিয়োগ সুপারিশ পাওয়া নতুন শিক্ষকদের আগামী ১৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে যোগদান করতে বলা হয়েছে। নতুন শিক্ষকরা সবাই এমপিওভুক্ত পদে (প্যাটার্নভুক্ত পদে) নিয়োগ সুপারিশ পেয়েছেন।

আরও পড়ুন : সাড়ে ১৯ হাজার প্রার্থীকে শিক্ষক পদে নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ, যোগদান ১৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে

২০২১ খ্রিষ্টাব্দের ২৮ মার্চ জারি করা সর্বশেষ বেসরকারি স্কুল-কলেজের এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামোর ১৮ এর (ঘ) অনুচ্ছেদে উল্লেখ রয়েছে, প্রতিষ্ঠান কর্তৃক এনটিআরসিএতে শিক্ষক চাহিদা দিলে ওই পদে মনোনীত (সুপারিশপ্রাপ্ত) প্রার্থীকে নিয়োগ (যোগদান করতে) দিতে হবে। প্যাটার্নের অতিরিক্ত চাহিদা দিলে ওই শিক্ষক কর্মচারীদের শতভাগ বেতন-ভাতা প্রতিষ্ঠান থেকে নির্বাহ করতে হবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে প্রতিষ্ঠান প্রধানের বেতন ভাতা স্থগিত বা বাতিল করা হবে এবং পরিচালনা কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।  

এদিকে যোগাদানে বাধা দিলে অভিযোগ দিতে নতুন শিক্ষকদের বলেছে এনটিআরসিএ। প্রার্থীদের জন্য ইস্যু করা সুপারিশপত্রে বলা হয়েছে, কোন যৌক্তিক কারণ ছাড়া নির্ধারিত তারিখের মধ্যে (১৯ সেপ্টেম্বর) সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীর অনুকূলে নিয়োগপত্র ইস্যু করা না হলে কিংবা যোগদানপত্র গ্রহণ করা না হলে সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীর অভিযোগের ভিত্তিতে যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে প্রতিষ্ঠান প্রধান এবং ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্ট বিভাগ বা অধিদপ্তরকে অনুরোধ জানানো হবে।

আরও পড়ুন :  পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষক নিয়োগে চূড়ান্ত সুপারিশ

৯৬ হাজারের বেশি শিক্ষক শূন্য পদ পূরণে জারি করা পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তির আওতায় প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ২২ হাজার ৩৩ জন প্রার্থীর মধ্য থেকে ১৯ হাজার ৫৮৬ জন প্রার্থীকে নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ করা হয়েছে। নতুন শিক্ষকদের নিয়োগ নির্ধারিত ওয়েবসাইট থেকে গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদনের সময় ব্যবহৃত ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করে সুপারিশপত্র ডাউনলোড করে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগদান করতে হবে। প্রার্থীদের আগামী ১৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে যোগদান করতে বলেছে এনটিআরসিএ। 

 

 


সর্বশেষ সংবাদ