৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে শূন্য থাকা পদগুলো যেভাবে পূরণ করবে এনটিআরসিএ

শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক ও এনটিআরসিএ লোগো
শ্রেণিকক্ষে শিক্ষক ও এনটিআরসিএ লোগো  © ফাইল ছবি

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রায় ৯৭ হাজার ৭৩৬ জন শিক্ষক নিয়োগ দিতে ৫ম গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। লক্ষাধিক পদের বিপরীতে আবেদন করেছেন মাত্র ২৩ হাজার ৯৩২ জন। ফলে বিপুল সংখ্যক পদ ফাঁকাই থেকে যাবে। শূন্য থাকা পদগুলো দ্রুত পূরণের উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে এনটিআরসিএ।

এনটিআরসিএ’র একটি সূত্র জানিয়েছে, ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে চারভাগের তিনভাগ পদই ফাঁকা থাকবে। এই পদগুলো পূরণে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে। তবে এক্ষেত্রে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতি প্রয়োজন হবে। মন্ত্রণালয়ের সবুজ সংকেত না পেলে ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের চূড়ান্ত ফল প্রকাশের পর ৬ষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে পদগুলো পূরণ করা হবে।

এ বিষয়ে এনটিআরসিএ’র সচিব ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রাথমিক সুপারিশের কাজ শেষ করতে। যেহেতু টেলিটকের মাধ্যমে আবেদন হয়, তাই তারা এখন আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করছে। আশা করছি ঈদের আগেই আমরা প্রাথমিক সুপারিশের কাজ শেষ করতে পারব। একই সঙ্গে আমরা ১৮তম নিবন্ধন পরীক্ষা শেষ করে দ্রুত ফল দেওয়ার চেষ্টা করব, যাতে ষষ্ঠ গণবিজ্ঞপ্তি দিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দ্রুত শিক্ষকের শূন্যপদ পূরণ করা যায়।’

এনটিআরসিএ’র কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিবন্ধনধারীদের সনদের মেয়াদ বেধে দেওয়া, ইনডেক্সধারীদের আবেদনের সুযোগ না দেওয়া এবং ১৭তম নিবন্ধনে উত্তীর্ণদের একটি অংশ আবেদনের সুযোগ না পাওয়ায় ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন কম পড়েছে। ইনডেক্সধারী এবং সনদের মেয়াদ বেধে না দিলে আবেদন সংখ্যা আরও বাড়ত বলে মনে করছে সংস্থাটি।

ওই সূত্র আরও জানায়, ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে ৩৫ ঊর্ধ্ব বয়সীরা আবেদন করতে না পারায় এবং নিবন্ধনের সনদ তিন বছর হওয়ায় এই গণবিজ্ঞপ্তিতে শুধু ১৬ ও ১৭তম নিবন্ধনে উত্তীর্ণরাই আবেদন করতে পেরেছেন। কিন্তু ১৬তম নিবন্ধনে উত্তীর্ণদের বেশির ভাগের চাকরিই চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে হয়ে গেছে। ফলে ১৭তম নিবন্ধনে উত্তীর্ণ ২৩ হাজার ৯৮৫ জনের মধ্যে যাঁদের আবেদনের সুযোগ ছিল তাঁরাই পঞ্চম গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করেছেন। এতে স্কুল, কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে লক্ষাধিক পদ শূন্য থাকলেও মাত্র এক-চতুর্থাংশ আবেদন জমা পড়েছে।

এ বিষয়ে এনটিআরসিএর সচিব ওবায়দুর রহমান বলেন, ‘৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে প্রায় ২৪ হাজারের মতো আবেদন পড়েছে। এর পেছনে অন্যতম কারণ ৩৫ বছর ঊর্ধ্বরা আবেদন করতে না পারা এবং নিবন্ধন সনদের মেয়াদ তিন বছর নির্ধারণ করে দেওয়া। এ ব্যাপারে আদালতের নির্দেশনা রয়েছে। ফলে আমাদের করার কিছু নেই।’

এর আগে গত ৩১ মার্চ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৯৬ হাজার ৭৩৬টি পদে শিক্ষক নিয়োগের গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এর মধ্যে স্কুল অ্যান্ড কলেজে ৪৩ হাজার ২৮৬টি এবং মাদরাসা ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানে ৫৩ হাজার ৪৫০টি পদে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। ৫ম গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন গ্রহণ শেষ হয়েছে গত ৯ মে। ১০ মে রাত ১২টা পর্যন্ত আবেদনের ফি জমা দিতে পেরেছেন আবেদনকারীরা।


সর্বশেষ সংবাদ