৪র্থ গণবিজ্ঞপ্তি: জাল সনদে আবেদন করে ধরা খেলেন ১২৩ প্রার্থী

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ  © ফাইল ফটো

জাল সনদ দিয়ে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করা ১২৩ প্রার্থীকে শনাক্ত করা হয়। এসব প্রার্থীর নিয়োগ সুপারিশ বাতিল করেছে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।

জানা গেছে, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন গ্রহণ করে এনটিআরসিএ। এ সময় এনটিআরসিএর সনদ জাল করে আবেদন করেন তারা। চলতি বছরের মার্চে নিয়োগের প্রাথমিক সুপারিশও পেয়েছিলেন। তবে চূড়ান্ত যাচাই-বাছাইয়ে বাদ পড়ে যান তারা।

এনটিআরসিএ বলছে, বিভিন্ন শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নাম ও রোল নম্বর সংগ্রহ করে একটি চক্র৷ এই চক্র জাল সনদ তৈরি করে প্রার্থীদের কাছে বিক্রি করে। পরবর্তীতে তারাই গণবিজ্ঞপ্তিতে আবেদন করেছিলেন। ধরা পড়ায় তাদের চূড়ান্ত সুপারিশ বাতিল করা হয়েছে।

 নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনটিআরসিএর এক কর্মকর্তা জানান, জাল সনদ নিয়ে শিক্ষকতার সুযোগ নেই। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কারো সনদ সম্পর্কে সন্দেহ থাকলে প্রতিষ্ঠান প্রধানের মাধ্যমে তা এনটিআরসিএ কার্যালয়ে পাঠাতে হবে। কোনো শিক্ষক জাল সনদধারী বলে শনাক্ত হলে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধানকে বলা হয়েছে।

জাল সনদেও কীভাবে নিয়োগের জন্য তাদের প্রাথমি সুপারিশ করা হলো? এমন প্রশ্নের জবাবে ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, যখন শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কোনো প্রাথীর সনদ জাল করে আবেদন করেন তখন এনটিআরসিএর সার্ভারে উত্তীর্ণ প্রার্থীর রোল নম্বরটিই শনাক্ত হয়। তথ্যে মিল থাকায় হয়তো আসল প্রার্থীই আবেদন করেছেন বলে সার্ভার রিড করে।  ফলে কম্পিউটার সিস্টেমও বিভ্রান্ত হয়ে তাদের নির্বাচিত করে। তবে পরে যাচাই-বাছাইয়ে অন্যান্য তথ্য দেখে জাল সনদের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়।


সর্বশেষ সংবাদ