ফেসবুকে বিতর্কিত পোস্ট করলে শিক্ষা ক্যাডারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ০৫ আগস্ট ২০২২, ০৯:০৭ AM , আপডেট: ০৫ আগস্ট ২০২২, ০৯:০৭ AM
ফেসবুক ব্যবহার নিয়ে বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের সতর্ক করেছে সরকার। সহকর্মী এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নেওয়া সিদ্ধান্তের বিষয়ে অশোভন, অনৈতিক, শিষ্টাচার বহির্ভূত ও উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ায় এ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (০৪ আগস্ট) রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক নেহাল আহমেদ স্বাক্ষরিত সতর্কবার্তা শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং কর্মচারীদের করণীয় ও বর্জনীয় নির্ধারণ, কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার সংক্রান্ত নির্দেশিকা-২০১৬’ প্রণয়ন করেছে। সে অনুযায়ী বেশ কিছু বিষয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করা যাবে না।
তার মধ্যে রয়েছে জাতীয় ঐক্য ও চেতনার পরিপন্থী কনটেন্ট, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগতে পারে এমন বা ধর্ম নিরপেক্ষতার পরিপন্থী কোনো কনটেন্ট, রাজনৈতিক মতাদর্শ বা আলোচনা সংক্রান্ত কনটেন্ট, কোনো ক্ষুদ্র জাতিসত্ত্বা, নৃ-গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের প্রতি বৈষম্যমূলক বা হেয় প্রতিপন্নমূলক কনটেন্ট, ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান বা রাষ্ট্রকে হেয় প্রতিপন্ন করে এমন কনটেন্ট, লিঙ্গ বৈষম্য বা এ সম্পর্কিত বিতর্কিত কন্টেন্ট এবং জনমনে অসন্তোষ বা অপ্রীতিকর ঘটনা তৈরি করতে পারে এমন কনটেন্ট।
বার্তায় বলা হয়েছে, শিক্ষা ক্যাডারের কিছু সদস্য ফেসবুকে তাদের ব্যক্তিগত ওয়ালে বা বিভিন্ন গ্রুপে সহকর্মী, অধ্যক্ষ এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের বিষয়ে অশোভন, অনৈতিক, শিষ্টাচার বহির্ভূত ও উসকানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন। এতে ক্যাডার, মাধ্যমিক ও শিক্ষা অধিদপ্তর এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। এমন কর্মকাণ্ড সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমেলা-১৯৭৯, কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা-২০১৮, চাকরি আইন-২০১৮, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশিকার পরিপন্থী।
আরো পড়ুন: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরির সুযোগ, আবেদন ফি ৬০০
বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের যে সব সদস্য গ্রুপ খুলেছেন, তাঁদের অ্যাডমিনকে কন্টেন্ট বা পোস্ট অনুমোদনে সরকারি আইন বা বিধি প্রতিপালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তারা যেসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন, তার প্রধান নির্দেশিত বিষয়টি মনিটর করবেন এবং কোনো ব্যক্তি কোনো কন্টেন্ট বা পোস্টে সংক্ষুব্ধ হলে বা পোস্ট প্রদানকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে আবেদন করবেন।
বিশেষ সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাদের এ কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।